গাজীপুরের ঐতিহাসিক ভাওয়াল রাজবাড়ীতে নাগলিঙ্গম গাছে ফুটেছে শত শত ফুল। অপরূপ সৌন্দর্যে্র পাশাপাশি সুগন্ধ ছড়াচ্ছে ফুলগুলো।
নাগলিঙ্গম গাছের দেখা খুব বেশি মেলে না। দেশে মাত্র ৫০-৫২টি এই গাছ রয়েছে। প্রতিবছর মার্চ থেকে জুলাই মাসে নাগলিঙ্গম ফুল ফোটে।
গাছের কাণ্ড থেকে শিকড়ের মতো বের হয়। সেই শিকড়ে ফুল ফোটে। একটি শিকড়ে অনেকগুলো ফুল থাকে। ফুলে ফুলে গাছের কাণ্ড আচ্ছাদিত হয়ে যায়।
এই ফুলের রং লাল, গোলাপি আর হলুদ মিশ্রিত। আকারে বড়। পাপড়ি ছয়টি এবং তুলনামূলক ভারি। ফুলের মধ্যভাগে রয়েছে গর্ভাশয়। গর্ভাশয়টি সাপের ফণার মতো দেখতে। এর জন্যই হয়তো ফুলটির নাম ‘নাগলিঙ্গম’।
ফুল শুকিয়ে গেলে তাতে গোলাকৃতির বাদামি-খয়েরি বর্ণের ফল হয়। এই ফল হাতির পেটের রোগের জন্য উপকারী। এর অন্য নাম হাতির জোলাপ।
গাজীপুরের নাগলিঙ্গম গাছটি বিশাল আকৃতির। প্রায় একশত ফুট উঁচু। গাছটির বয়স কত, তার সঠিক তথ্য পাওয়া যায় না। অনেকের মতে, এটি ভাওয়াল রাজাদের আমলে রোপণ করা। তাদের যুক্তি, গাছটির ফল যেহেতু হাতির চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয় এবং গাছটির অবস্থান রাজবাড়ীতে, তাই এটি ভাওয়াল রাজাদের আমলের। কারণ ভাওয়াল রাজাদের হাতি ছিল।
অনেকে ভাওয়ালের রাজবাড়ী পরিদর্শনে আসেন। তারা নাগলিঙ্গম গাছ ও এর ফুলে আকৃষ্ট হন। এবার ফুল ফোটার সময় দেশ বিপর্যস্ত করোনা মহামারিতে। মানুষের চলাচলে রয়েছে বিধি-নিষেধ। নাগলিঙ্গম ফুলের সৌন্দর্য উপভোগ করার দর্শনার্থী এবার নেই বললেই চলে।