কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা, কুমিল্লা-১০ সংসদীয় আসনে দলের মনোনীত প্রার্থী সাবেক এমপি মনিরুল হক চৌধুরীকে রাজনৈতিক কারণে গায়েবী মামলায় জড়িয়ে হয়রানীসহ নির্বাচনী কার্যক্রম থেকে সরিয়ে রাখার অভিযোগ করা হয়েছে। বিজয়ের মাসেও কারাগারে বন্দি। নানান রোগে আক্রান্ত হয়ে জীবন সংকটাপন্ন একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হিসেবে এ অবস্থার জন্য আমরা কার কাছে বিচার চাইব।
জেলার সদর দক্ষিণ উপজেলার নোয়াগ্রামে মনিরুল হক চৌধুরীর নিজ বাড়িতে সোমবার বেলা সাড়ে ১১টায় জনাকীর্ণ সংবাদ সম্মেলনে কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে এমন আকুতির কথা জানান মনিরুল হক চৌধুরীর মেয়ে ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. চৌধুরী সায়মা ফেরদৌস।
সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি অভিযোগ করেন, আমার বাবা মহান মুক্তিযুদ্ধের একজন সংগঠক। গত ২৪ অক্টোবর থেকে কারাগারে বন্দি আছেন। নানান জটিল রোগে আক্রান্ত হয়ে তার জীবন সংকটাপন্ন হয়ে পড়েছে। যে কোনো সময় তিনি মারাও যেতে পারেন। এর বিচারটা আমরা কার কাছে চাইব, জবাব কে দেবে।
তিনি বলেন, এখানে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা মাঠে নামতে পারছেন না, স্লোগান দিতে পারছেন না। ধানের শীষের পক্ষে যারা মাঠে নামেন তাদের নাম-ঠিকানা খুঁজে মামলায় জড়িয়ে দেয়া হচ্ছে। বাড়ি বাড়ি গিয়ে নেতাকর্মীদের মারধরসহ হামলা ভাংচুর ও লুটপাট করা হচ্ছে। এ আসনের বিএনপি নেতা সাবেক এমপি আবদুল গফুর ভূঁইয়াকেও গ্রেফতার করা হয়েছে এবং অপর নেতা মোবাশ্বের আলম ভূঁইয়াও কারাগারে। আমিও প্রতিনিয়ত নানাভাবে হুমকির সম্মুখিন হচ্ছি।
তিনি আরো বলেন, এটা কোন ধরণের গণতন্ত্র। এখানে নির্বাচনের কোনো পরিবেশ নেই। কারাগারে আমার বাবার সঙ্গে দলীয় নেতাদের দেখা করতে দেয়া হচ্ছে না। এসময় তিনি ন্যায় বিচার এবং অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে অবিলম্বে তার পিতার মুক্তিসহ লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড প্রতিষ্ঠার জন্য নির্বাচন কমিশনের নিকট দাবি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে মনিরুল হক চৌধুরীর পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট কাজী নাজমুস সা’দাত এবং দলের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।