উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে জামালপুরে যমুনা নদীর পানি হু হু করে বাড়ছে। এতে চারটি উপজেলার ১৬টি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে পড়েছে। আজ রোববার বেলা ১১টার দিকে যমুনা নদীর বাহাদুরাবাদ পয়েন্টে ৩৪ সেন্টিমিটার পানি বেড়ে বিপৎসীমার ৫২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।
নদীতীরবর্তী চারটি উপজেলার ১৬টি ইউনিয়নের নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন প্রায় ১০ হাজার মানুষ। কয়েক দিন ধরে পানি অব্যাহতভাবে বেড়ে যাওয়ায় নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হতে শুরু করেছে। একই সঙ্গে তলিয়ে যাচ্ছে নিম্নাঞ্চলের ফসলি জমি।
জামালপুরে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) পানি পরিমাপের নিয়ন্ত্রক আব্দুল মান্নান বলেন, দ্রুতগতিতে যমুনার পানি বাড়ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৪ সেন্টিমিটার পানি বেড়ে বাহাদুরাবাদ পয়েন্টে বিপৎসীমার ৫২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। যেভাবে পানি বাড়ছে, এতে নতুন নতুন আরও এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা আছে।
স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, ইসলামপুর উপজেলার চিনাডুলী, নোয়ারপাড়া, কুলকান্দি, পাথর্শী, সাপধরী, বেলগাছা; সরিষাবাড়ী উপজেলার আওনা, পিংনা, কামরাবাদ, পোগলদিঘা; দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার চিকাজানী, চুকাইবাড়ী, বাহাদুরাবাদ এবং মাদারগঞ্জ উপজেলার চরপাকেরদহ, জোড়খালী ও বালিজুড়ী ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে।
চিনাডুলী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আব্দুল ছালাম বলেন, নদীর পানি হু হু করে বাড়ছে। এই ইউনিয়নের প্রায় সব এলাকায় পানি ঢুকে গেছে। অনেক মানুষ এখন পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন। গতকাল থেকে অনেকেই ঘরবাড়িতে আটকা পড়েছেন। এসব এলাকায় এখনই খাদ্যসাহায্যের প্রয়োজন। এমনিতেই এসব অঞ্চলের মানুষ নদীভাঙনের শিকার। তাদের দিনে এনে দিনে খাওয়া অবস্থা।
জামালপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ এনামুল হক বলেন, যমুনার পানি বাড়তে শুরু করেছে। নিম্নাঞ্চলের কিছু স্থানে পানি ঢুকতে শুরু করেছে। বন্যা মোকাবিলায় জেলা দুর্যোগ প্রতিরোধ কমিটির সভা হয়েছে। বন্যা মোকাবিলায় জেলা প্রশাসনের সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া আছে। একই সঙ্গে বন্যা–সংশ্লিষ্ট উপজেলার ইউএনওদের নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে। মানুষকে সব ধরনের সহায়তা করার উদ্যোগ নেওয়া হবে।