নির্বাচনী প্রচারণার সময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও নরসিংদী-২ (পলাশ) আসনের প্রার্থী ড. আব্দুল মঈন খান ও তার কর্মী সমর্থকদের ওপর হামলার হয়েছে। হামলায় মঈন খানসহ অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছে।
রোববার দুপুরে নরসিংদীর পাঁচদোনা বাজারে পুলিশের উপস্থিতিতে হামলার ঘটনা ঘটে। পুলিশের উপস্থিতিতে স্থানীয় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা এ হামলার করেছে বলে মঈন খান অভিযোগ করেন। আহতদের মধ্যে তিনজনকে নরসিংদী জেলা হাসপাতাল ও বাকিদের ঢাকা এবং নরসিংদীর বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
ড. মঈন খানের ব্যক্তিগত সহকারী বাহাউদ্দীন ভূঁইয়া মিল্টন জানিয়েছেন, ঘটনার সময় ড. মঈন খান গণসংযোগ করতে পাঁচদোনা মোড়ে যান। গণসংযোগ করে পাঁচদোনা বাজারে পৌঁছালে দুদিক থেকে আগ্নেয়াস্ত্রধারী স্থানীয় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা হামলা চালান। এ সময় পুলিশের সামনেই প্রকাশ্যে গুলি ছুড়তে থাকেন তারা। মঈন খানসহ নেতার্কর্মীরা বাজারের একটি দোকানে আশ্রয় নিলে সেখানেও হামলা চালানো হয়।
আহতদের মধ্যে তিনজনকে নরসিংদী জেলা হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। বাকিদের নরসিংদী ও ঢাকার বিভিন্ন সপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
মেহেরপাড়া ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আল মাহমুদ সনেট জানান, মেহেরপাড়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগ নেতা আমির ও যুবলীগ নেতা কামাল মিয়ার নেতৃত্বে অর্ধশতাধিক সন্ত্রাসী আমাদের উপর হামলা চালায়। ছাত্রলীগ নেতা আমির স্যারকে(মঈন খান) আঘাত করতে গেলে আমি ও যুবদল নেতা আকরাম পাশে গিয়ে দাড়াই। এসময় তারা আমাকে ও আকরামকে বেদম পেটাতে থাকে।
মাধবদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু তাহের দেওয়ান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘খবর পেয়ে সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তদন্তের পর বিস্তারিত বলা যাবে। ঘটনার সময় সেখানে পুলিশ ছিল না।