প্রেসিডেন্ট মাইথ্রিপালা সিরিসেনার কাছে শপথবাক্য পাঠ করে ফের শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বগ্রহণ করেছেন রনিল বিক্রমাসিংহে। রোববার স্থানীয় সময় বেলা সোয়া প্রায় ১১টার দিকে তিনি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন। দিনের এই সময়টাকে বিক্রমাসিংহের জন্য সুপ্রসন্ন সময় বলে বিবেচনা করেছেন সিদ্ধান্তগ্রহণকারীরা। এই নিয়ে পঞ্চমবারের মতো শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নিলেন বিক্রমসিংহে। এর মধ্য দিয়ে অক্টোবরের শেষ দিকে শুরু হওয়ার শ্রীলঙ্কার রাজনৈতিক সঙ্কট শেষ হচ্ছে ধারণা সব মহলের।
ওই সময় বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে দ্বন্দ্ব তৈরি হওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী বিক্রমাসিংহকে হঠাৎ করেই বরখাস্ত করেছিলেন প্রেসিডেন্ট সিরিসেনা। রোববারই শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বিক্রমাসিংহে আবার ফিরে আসছেন বলে এর আগে রয়টার্সকে জানিয়েছিলেন তার দলের এক আইনপ্রণেতা ও শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট দফতরের এক কর্মকর্তা। সিরিসেনা বিক্রমাসিংহকে বরখাস্ত করে তার রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী মাহিন্দা রাজাপাকসেকে নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দিলেও রাজাপাকসেকে পদে ধরে রাখতে পারেননি। সিরিসেনার সিদ্ধান্ত বিরোধিতার মুখে পড়ার পর তিনি পার্লামেন্টও ভেঙে দিয়েছিলেন। কিন্তু বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্ট প্রেসিডেন্টের ওই পদক্ষেপ বেআইনি বলে রায় দেয়।
সুপ্রিম কোর্টের রায় ও পার্লামেন্টের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের সমর্থন লাভে ব্যর্থ হওয়া রাজাপাকসে শনিবার পদত্যাগ করেন। অপর দিকে বুধবার পার্লামেন্টে বিক্রমাসিংহের প্রধানমন্ত্রিত্বের প্রতি আনা আস্থা প্রস্তাব পাস হয়। এ পরিস্থিতিতে বিক্রমাসিংহের প্রধানমন্ত্রিত্ব ফিরে পাওয়ার সম্ভাবনা পরিষ্কার হয়ে গিয়েছিল। রোববার বিক্রমাসিংহের সাবেক সরকারের মন্ত্রিপরিষদ মুখপাত্র রাজিথা সেনারতেœ রয়টার্সকে বলেছিলেন, আজ এক মঙ্গলজনক সময়ে তিনি শপথ গ্রহণ করবেন। প্রেসিডেন্ট দফতরের এক কর্মকর্তাও বিষয়টি নিশ্চিত করেছিলেন। গত ২৬ অক্টোবর সিরিসেনা বিক্রমাসিংহকে বরখাস্ত করে রাজাপাকসেকে নিয়োগ দিলে দেশটিতে রাজনৈতিক সঙ্কট শুরু হয়। প্রেসিডেন্টের এ সিদ্ধান্ত পার্লামেন্টের ভোটে মুখ থুবড়ে পড়লেও সিরিসেনা তা মেনে নেননি। এরপরই পার্লামেন্টের স্পিকার শ্রীলঙ্কায় কার্যত কোনো প্রধানমন্ত্রী নেই বলে ঘোষণা করেছিলেন।