যশোর-৩ আসনের বিএনপি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট মনোনীত ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী অনিন্দ্য ইসলাম অমিতের পথসভার পাশে বোমা হামলা চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা। শনিবার সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটের সময় আরবপুর ইউনিয়নের কদমতলা মোড়ে গণসংযোগ শেষে পথসভায় অংশ নেন বিএনপি নেতাকর্মীরা। এসময় পথসভা শেষ হওয়ার সাথে সাথে ১০জন যুবক মোটরসাইকেলে এসেই পরপর দুটি হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ত্রাস সৃষ্টি করে।
এদিকে বোমা হামলায় কেউ হতাহত না হলেও সন্ত্রাসীরা অনিন্দ্য ইসলাম অমিতের গাড়িবহর থেকে মোশাররফ নামে ষাটোর্ধ এক বিএনপি নেতাকে ধরে বেধড়ক মারপিট করে। পরে উপস্থিত নেতাকর্মীরা প্রতিরোধে এগিয়ে আসলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়।
গণসংযোগের একশো গজ দূরে এ বোমা হামলার ঘটনার পেছনে এ আসনের নৌকার প্রার্থীর লোকজন জড়িত বলে অভিযোগ করেন অমিত। তিনি বলেন, বোমা মেরে ভয় দেখিয়ে আমাদের নির্বাচন থেকে দূরে ঠেলে দেয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। কিন্তু কোনো ভয়ভীতি দেখিয়ে লাভ নেই। আমার শরীরে তরিকুল ইসলামের রক্ত। ভয় কী জিনিস সেটা আমরা জানিনা। আমরা সকলে ভয়কে জয় করতে পারি। তিনি বোমা হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে এর সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানান।
আরবপুর ইউনিয়নের কয়েকটি পথসভায় প্রার্থী অনিন্দ্য ইসলাম অমিত অংশ নেন। এ সময় তিনি বলেন, নির্বাসিত গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনতে সকল ভয়ভীতি উপেক্ষা করে ধানের শীষে ভোট দিন। ৩০ ডিসেম্বর ভোট বিপ্লবের মাধ্যমে লুটপাট গুম হত্যা ও সমুদয় অবিচারের দাতভাঙ্গা জবাব দিতে নারী পুরুষ সকলকে আহবান জানান তিনি।
সবাইকে সতর্ক করে অমিত বলেন, ভোটের বাক্সে কাউকে হাত দিতে দেয়া হবে না। সবাই নির্বিঘ্নে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ধানের শীষে ভোট দিবেন। বিজয় নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত কেন্দ্রে কেন্দ্রে পাহারা জোরদার করতে হবে। তাহলে আমরা এ দুঃশাসনের কবল থেকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে অসতে পারবো।
এসময় তার সাথে উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি গোলাম রেজা দুলু, সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি নুরুন্নবী, সাধারণ সম্পাদক কাজী আজম, সিরাজুল ইসলাম প্রমুখ।