চাঁদপুরের শাহরাস্তিতে সম্পত্তি নিয়ে বিরোধে ভাতিজিকে খুন করার অভিযোগ উঠেছে আপন চাচার বিরুদ্ধে। ওই ঘটনায় শুক্রবার ভোররাতে ছগির আহমেদ ও কবির আহমেদ নামে দুই সহোদরকে আটক করেছে শাহরাস্তি থানা পুলিশ। বৃহস্পতিবার দুপুরে নিহত শাহনাজ বেগম প্রকাশ দয়া’র (৪০) লাশ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
নিহতের পরিবার ও থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার টামটা উত্তর ইউনিয়নের রাজাপুর গ্রামের মিয়া বাড়ির মৃত হাসান মিয়ার স্বামী পরিত্যক্তা শাহনাজ বেগম প্রকাশ দয়া বাবার বাড়িতেই থাকতেন। ওই বাড়ির মৃত হাফেজ ওবায়েদুল হক মিয়ার পুত্র কবির আহমেদ (৬০) ও ছগির আহমেদ (৫২) এর সাথে দীর্ঘদিন ধরে তাদের সম্পত্তিগত বিরোধ চলে আসছিলো।
ঘটনার দিন সকালে পার্শ্ববর্তী হাজিগঞ্জ উপজেলায় অবস্থানরত নিহতের ছোট বোন শারমিন আক্তার (২৮) দয়া’র মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করে সংযোগ না পেয়ে তাদের পূর্ব পরিচিত গ্রামীণ ব্যাংক উয়ারুক শাখার সহকারী ব্যবস্থাপক মোঃ মিজানুর রহমানকে ওই বাড়িতে পাঠান। সকাল ১০টায় মিজানুর রহমান বাড়িতে গিয়ে তাদের ঘরের মেঝেতে শাহনাজ বেগম প্রকাশ দয়া’র বিবস্ত্র রক্তাক্ত লাশ পড়ে থাকতে দেখেন।
তাৎক্ষনিক সে শারমিনকে বিষয়টি অবগত করলে পরিবারের লোকজন বাড়িতে ছুটে আসে। খবর পেয়ে সহকারী পুলিশ সুপার (কচুয়া সার্কেল) শেখ রাসেল, থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ শহিদুল ইসলাম, এসআই কুতুব উদ্দিন লিয়ন খান লাশ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করে।
এ ঘটনায় নিহতের বোন শারমিন আক্তার বাদি হয়ে শাহরাস্তি থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করলে পুলিশ শুক্রবার ভোররাতে নিহতের দুই চাচা কবির ও ছগিরকে আটক করে।
নিহতের বোন ও মামলার বাদি শারমিন আক্তার জানান, আসামীদের সাথে আমাদের দীর্ঘদিনের সম্পত্তিগত বিরোধ রয়েছে। ইতোপূর্বে এ নিয়ে পুলিশ সুপার কার্যালয় ও শাহরাস্তি থানায় পৃথক অভিযোগ দায়ের করা হয়। ঘটনার দিন আমাদের অনুপস্থিতিতে শাহনাজ বেগমকে একা পেয়ে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করা হয়।
শাহরাস্তি থানার ওসি মোঃ শাহ আলম জানান, এ ব্যাপারে একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। আসামীদের আটক করে কোর্ট হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।