দেখতে দেখতে প্রকৃতিতে ঋতুবদলের সময়ে ঘনিয়ে এলো। গ্রীষ্মের শেষ ঘোষণা দিয়ে বর্ষা আসছে আগামী সপ্তাহের শুরু থেকে। অর্থাৎ ৬ জুন থেকে বর্ষা মৌসুমের দিনভর বৃষ্টি থাকবে ময়মনসিংহ অঞ্চলেও। দেশের টেকনাফ উপকূল দিয়ে ঘটতে পারে দক্ষিণ পশ্চিম মৌসুমী বায়ুর আগমন। আবহাওয়া অধিদফতর বলছে, এতে চলতি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহেই বর্ষার পুরো আবির্ভাব ঘটতে পারে। তবে এখন বৃষ্টি হচ্ছে পশ্চিমা লঘুচাপের প্রভাবে। আগামীকাল এবং তার পরের দিনও দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টি হবে। একই কারণে আজ নদীবন্দরগুলোকে ২ নম্বর নৌ হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
আবহাওয়াবিদ আবুল কালাম মল্লিক বলেন, এখন যে বৃষ্টি হচ্ছে তা লঘুচাপের প্রভাবে। তবে খুব শিগগিরই বর্ষা মৌসুমের আবির্ভাব ঘটবে। আগামী ৫/৬ দিনের মধ্যে দেশের টেকনাফ উপকূলে দক্ষিণ পশ্চিম মৌসুমী বায়ুর আগমন ঘটবে। এরপর এই বায়ু আস্তে আস্তে চট্টগ্রাম হয়ে ভেতরে আসতে শুরু করবে। পুরো দেশের ওপর ছড়িয়ে পড়তে চলতি মাসের মাঝামাঝি পর্যন্ত সময় লাগবে। এরপর শুরু হবে মূল বর্ষা মৌসুম। আর তখন প্রায় দিনই বৃষ্টি হবে থেমে থেমে।
এদিকে এখনকার বৃষ্টির কারণ হিসেবে তিনি বলেন, লঘুচাপের বর্ধিতাংশ বাংলাদেশসহ আশেপাশের এলাকায় অবস্থান করছে। এর প্রভাবে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি হচ্ছে। নদীগুলো কিছুটা উত্তাল হতে পারে বলে নদী বন্দরে দেওয়া হিয়েছে ২ নম্বর নৌ হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। আজ এবং আগামীকাল এই আবহাওয়া বিরাজ করতে পারে বলে তিনি জানান।
এদিকে আবহাওয়া অধিদফতর জানায়, লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও এর আশেপাশের এলাকায় অবস্থান করছে। আগামী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়, ঢাকা, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং খুলনা, বরিশাল,রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে।
আজ দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টি হয়েছে কুমিল্লায় ৬৬ মিলিমিটার। এছাড়া ঢাকায় ২২, নেত্রকোনায় ৩৪, চট্টগ্রামে ৩০, শ্রীমঙ্গলে ৫২, খেপুপাড়ায় ৬২ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে।
অন্যদিকে আজ রাত ১ টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়, রাজশাহী, রংপুর, দিনাজপুর, পাবনা, বগুড়া, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, যশোর, কুষ্টিয়া, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, কুমিল্লা, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং সিলেট অঞ্চলসমূহের ওপর দিয়ে পশ্চিম বা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬০ থেকে ৮০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ২ নম্বর নৌ হুঁশিয়ারী সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।