অসময়ে যমুনা, ধলেশ্বরী, লৌহজংসহ বিভিন্ন নদ নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় প্লাবিত হয়েছে নিম্নাঞ্চল। এতে শত শত কৃষকের পাকা ধান পানিতে তলিয়ে গেছে। শ্রমিক সংকটে পাকা ধান ঘরে তুলতে না পেরে চরম লোকসানের মুখে পড়েছেন কৃষকরা।
সম্প্রতি বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলে আম্পান আঘাত হানায় দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের নদ নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। সেইসাথে লাগাতার বর্ষণে নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে টাঙ্গাইলের মির্জাপুর বাসাইল ও টাঙ্গাইল সদরসহ বিভিন্ন উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে কৃষকের শত শত হেক্টরের পাকা ধান পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। আবার মহামারী করোনাভাইরাসের কারণে শ্রমিক না পাওয়ায় কৃষকরা পড়েছেন চরম সংকটে।
ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের অভিযোগ কৃষি বিভাগ সময়মতো ব্যবস্থা গ্রহণ করলে তলিয়ে যাবার আগেই তারা ধান ঘরে তুলতে পারতেন।
মজুরি বেশি ও দীর্ঘদিন কর্মহীন থাকায় বাধ্য হয়েই পানিতে নেমে ধান কাটছেন অনেক শ্রমিক। এভাবে ধান কাটায় ঝুঁকির মধ্যে রয়েছেন তারাও।
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরের উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল মালেক মুস্তাকিম জানিয়েছেন, উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব রকমের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
টাঙ্গাইলের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইসমাইল হোসেন জানান, অন্যস্থান থেকে শ্রমিক এনে ও হারভেষ্টার মেশিন দিয়ে দ্রুত নিমজ্জিত ধান কাটার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
জেলা থেকে এ বছর বোরো ধানের লক্ষমাত্রা ৬ লাখ ৫৮ হাজার ৮৫৬ মে.টন আর সম্ভাব্য উৎপাদন ৬ লাখ ৭১ হাজার ৩৩৫ মে.টন। এখন পর্যন্ত ৭৬ শতাংশ ধান কর্তন করা হয়েছে। আর ৯২ হেক্টর জমির পাকা ধান পানির নিচে নিমজ্জিত।