ঈশ্বরগঞ্জের আঠারবাড়ি খাদ্য গুদামে নান্দাইল এলাকার ১০ কেজির চাল অবৈধভাবে জমার রাখার জন্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আশরাফ আলী ও নান্দাইল রোড এলাকার জনৈক ডেন্ডু মিয়ার পুত্র মতি মিয়াসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে ঈশ্বরগঞ্জ থানায় একটি ফৌজধারী মামলা রুজু করা হয়েছে। মামলাটির বাদী হয়েছেন ঈশ্বরগঞ্জ সরকারি খাদ্য গুদামের খাদ্য নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা এইচ এম কামরুজ্জামান। মামলা নং ৩০ তারিখ-৩০/৫/২০।
শনিবার রাতে ঈশ্বরগঞ্জ থানায় মামলাটি নথিভুক্ত করা হয়। এতে আঠারোবাড়ি ১নম্বর সরকারি খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আশরাফ আলী, ফরিদা রাইস মিলের মালিক আবু বক্কর সিদ্দিক, সিন্ডিকেট চক্রের চাল ব্যবসায়ী মিলন মিয়া ও নান্দাইল উপজেলার গাঙ্গাইল গ্রামের ডেন্ডু মিয়ার ছেলে মতি মিয়াকে আসামি করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, মতি মিয়া নান্দাইল উপজেলা থেকে সরকারি খাদ্যবান্ধব ১০টাকা কেজি দরের ৩হাজার ৯শ ৫০কেজি চাল আঠারবাড়ি ১নম্বর সরকারি খাদ্যগুদামে আভ্যন্তরিন বোরো সংগ্রহের নামে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আশরাফ আলী যোগসাজসে মজুদ করে রাখে। গোপন সূত্রের খবরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. জাকির হোসেন চাল জব্দ করে গুদামটি সিলগালা করেন। অনিয়মের খবর পেয়ে খাদ্য অধিদপ্তরের মহা পরিচালক সারোয়ার মাহমুদ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে জেলা খাদ্য কর্মকর্তা জহিরুল ইসলামকে প্রধান করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন। কমিটির অন্য সদস্যরা হচ্ছেন খাদ্যবিভাগের সহকারী রসায়নবিদ উত্তম কুমার, উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক (করিগরি) আলাউদ্দিন। তদন্ত কমিটিও ব্যপক অনিয়মের তথ্য পায় গুদামটিতে। এমন পরিস্থিতিতে খাদ্যগুদামটির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আশরাফ আলী ও ৭ নিরাপত্তা কর্মীকে প্রত্যাহার করা হয়।
ঈশ্বরগঞ্জে থানার অফিসার ইনচার্জ মোখলেছুর রহমান আকন্দ বলেন, খাদ্যগুদামের বিষয়টি নিয়ে চার জনকে আসামি করে মামলা হয়েছে। অভিযুক্তদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।