নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ উপজেলার ধনু নদীতে ট্রলার ডুবির ঘটনায় শারমিন আক্তার (৪৫) নামে এক নারীসহ ২ জন নিখোঁজ হয়েছেন।
নিখোঁজ ব্যক্তিরা হলেন, উপজেলার গাগলাজুর ইউনিয়নের ধনু নদীর তীরবর্তী গাগলাজুর নতুন বাজার এলাকার বাসিন্দা মনু মিয়ার স্ত্রী শারমিন আক্তার ও একই এলাকার বাসিন্দা মুক্তুলাল দাসের ছেলে সুশীল দাস (৫৫)। আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার গাগলাজুর নতুন বাজারের সামনের ধনু নদীতে এ ট্রলার ডুবির ঘটনাটি ঘটে। স্থানীয়রা দুর্ঘটনাস্থলসহ নদীর বিভিন্নস্থানে জাল ফেলে নিখোঁজ ব্যক্তিদের লাশ উদ্ধারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তবে নদীতে প্রবল স্রোত থাকায় উদ্ধার কাজ ব্যহত হচ্ছে। এঘটনায় উদ্ধার কাজে সহযোগিতার জন্য ময়মনসিংহ থেকে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরী দল যাচ্ছে মোহনগঞ্জে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে দশটার দিকে উপজেলার গাগলাজুর নতুন বাজার এলাকার বাসিন্দা দুই নারীসহ ৭-৮ জন লোক চিকিৎসার জন্য ইঞ্জিন চালিত ছোট একটি ট্রলার যোগে পাশের খালিয়াজুরী উপজেলার লেপশিয়া বাজারের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। ট্রলারটি ধনু নদীর গাগলাজুর নতুন বাজরের ঘাট থেকে ছেড়ে প্রায় ১০০ গজ দূরে যাওয়া মাত্রই ওই নদী দিয়ে বিপরীত দিক থেকে দ্রুত গতিতে আসা মাল বোঝাই একটি বাল্ক-হেড নৌকার প্রবল ঢেউয়ের ধাক্কায় ছোট ওই ট্রলারটি ডুবে যায়। এ সময় সাঁতার কেটে ট্রলারে থাকা অন্যান্য ব্যক্তিরা তীরে উঠতে পারলেও নদীর প্রবল স্রোত ও ঢেউয়ের তোড়ে শারমিন আক্তার ও সুশীল দাস নামে দুইজন পানিতে ডুবে নিখোঁজ হন।
মোহনগঞ্জ থানার ওসি মো. আব্দুল আহাদ খান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে মঙ্গলবার দুপুর দুইটার দিকে কালের কণ্ঠকে জানান, খবর পাওয়ার পরপরই থানা পুলিশ ও নৌ-পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে এবং তারা স্থানীয়দের সহযোগীতায় দুর্ঘটনাস্থলসহ নদীর বিভিন্নস্থানে জাল ফেলে নিখোঁজ ব্যক্তিদের লাশ উদ্ধারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তবে নদীতে প্রবল স্রোত থাকায় উদ্ধার কাজ ব্যহত হচ্ছে।
ওসি আরো জানান, উদ্ধার কাজে সহযোগিতার জন্য ময়মনসিংহ থেকে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরী দলকে ঘটনাস্থলে আসার জন্য খবর পাঠানো হয়েছে এবং তারাও আসার জন্য রওনাও দিয়েছেন।