শেরপুরে পুলিশের তিন সদস্যসহ চারজন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এ নিয়ে জেলায় ৭ পুলিশ সদস্য করোনায় আক্রান্ত হলেন। সিভিল সার্জন এ কে এম আনওয়ারুর রউফ এবং সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. মোবারক হোসেন আজ রোববার এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে সদর থানার একজন উপপরিদর্শক, একজন সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) ও জেলা বিশেষ শাখার (ডিএসবি) একজন নারী এএসআই রয়েছেন। এ ছাড়া সদর থানার আক্রান্ত এএসআইয়ের ছেলেও করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এর আগে ঝিনাইগাতী থানার তিন পুলিশ কর্মকর্তা ও সদর থানার এক কনস্টেবল করোনায় আক্রান্ত হন।
সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মোবারক হোসেন বলেন, শনিবার মধ্যরাতে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের ল্যাব থেকে তৃতীয় দফায় পাঠানো প্রতিবেদনে ওই তিন পুলিশ সদস্যসহ চারজনের করোনা পজিটিভ বলে নিশ্চিত করা হয়। আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে এক পুলিশ সদস্য ও তাঁর ছেলেকে শনিবার রাতেই জেলা সদর হাসপাতালের করোনা আইসোলেশন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে। আর অন্য দুজন হোম আইসোলেশনে আছেন। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে করোনায় আক্রান্ত কোনো ব্যক্তির সংস্পর্শে এসে তাঁরা করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। করোনা পরীক্ষার জন্য তাঁদের সংস্পর্শে আসা অন্য পুলিশ সদস্যদের নমুনা সংগ্রহ করা হবে।
এ বিষয়ে সিভিল সার্জন এ কে এম আনওয়ারুর রউফ বলেন, গত এপ্রিল মাসে ঝিনাইগাতী থানার এক পরিদর্শক ও দুই এসআই করোনায় আক্রান্ত হন। এখন পর্যন্ত তাঁদের মধ্যে দুজন সুস্থ হয়েছেন। আর একজন রাজারবাগ পুলিশ লাইনস হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
সিভিল সার্জন আরও বলেন, রোববার পর্যন্ত জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৩৮। তাঁদের মধ্যে শেরপুর সদরে ২২, শ্রীবরদীতে ৩, ঝিনাইগাতীতে ৭, নকলায় ৫ ও নালিতাবাড়ী উপজেলায় ১ জন রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ২৮ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। করোনার বিস্তার প্রতিরোধে সাধারণ মানুষকে সচেতন হওয়ার পাশাপাশি সামাজিক দূরত্ব মেনে চলতে হবে।