নেত্রকোনার বারহাট্টা উপজেলার ৬ নং সিংধা ইউপি চেয়ারম্যান শাহ মাহবুব মোর্শেদ কাঞ্চনের বাসার কিশোরী গৃহকর্মীর লাশ উদ্ধার করে হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। শনিবার (৯মে) সন্ধ্যার পূর্বে চেয়ারম্যানের মোহনগঞ্জ উপজেলা হাসপাতাল রোডের বাসায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত কিশোরী মারুফা আক্তার (১৪) বারহাট্টা উপজেলার সিংধা ইউনিয়নে চেয়ারম্যানের বাড়ির পাশের আলী আকবরের মেয়ে। গত দুই বছর পূর্বে এ বাসায় কাজ করতে আসে বলে নিশ্চিত করেছেন মোহনগঞ্জ থানার ওসি মো. আব্দুল আহাদ খান। কিশোরির মা চেয়ারম্যানের ছেলের ঢাকাস্থ বাসায় গৃহকর্মীর কাজ কাজ করেন।
বারহাট্টা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মাইনুল হক কাশেম জানান, আমাদের ৬ নং সিংধা ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের মোহনগঞ্জ বাসায় মেয়েটি আত্মহত্যা করেছে খবর পাই। পরে চেয়ারম্যান পুলিশকে না জানিয়েই নিজেই হাসপাতালে নিয়ে যান। এদিকে এলাকায় বিষয়টি নিয়ে আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। সন্দেহ রয়েছে বলেই মানুষ এ নিয়ে গুঞ্জন করছে। এর আগেও বিভিন্ন কারণে স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয় থেকে গত ১৯/১১/২০১৯ তারিখে লিখিত চিঠির মাধ্যমে সাময়িক বরখাস্ত করে এই চেয়ারম্যানকে।
মোহনগঞ্জ থানার ওসি মো. আব্দুল আহাদ খান জানান, চেয়ারম্যানের বাড়ির পিছনে বড়ই গাছে বিকালে পরিত্যাক্ত কারেন্টের তার গলায় পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে শুনেছি। পরে চেয়ারম্যান নিজেই উদ্ধার করে হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। আমরা লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছি। মেয়ের মাকে খবর দিয়েছি ঢাকা থেকে আসতে।
মোহনগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডাঃ আকিদা খানম শান্তা জানান, বিকালে চেয়ারম্যান নিজেই কিশোরীকে হাসপাতালে নিয়ে আসলে আমরা তাকে পরীক্ষা করে মৃত পাই।
এ ব্যাপারে কথা বলতে চেয়ারম্যানের নাম্বারে ফোন দিলে তা বন্ধ পাওয়া যায়।