গাজীপুরে মুক্তিপণ আদায়ের জন্য শারমিন সুলতানা (৬) নামে এক শিশুকে অপহরণ করেছিল একটি চক্র। কিন্তু অপহৃত শিশু কান্নাকাটি করায় ২০ মিনিটের মধ্যেই তাকে হত্যা করা হয়। শিশুর লাশ উদ্ধারের পাশাপাশি অপহরণে জড়িত ময়মনসিংহ বিভাগের ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জের ১জন ও নেত্রকোনার কেন্দুয়ার ১জনকে গ্রেপ্তার করেছে গাজীপুর পুলিশ। শনিবার দুপুরে সদর উপজেলার ভাওয়ালগড় ইউনিয়নের বানিয়ারচালা এলাকায় এ অপহরণ ও হত্যার ঘটনা ঘটে।
সূত্র জানায়, শিশু শারমিন সুলতানা গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার নলগাঁও গ্রামের মো. জাহাঙ্গীর আলমের মেয়ে। জাহাঙ্গীর বানিয়ারচালা এলাকায় আবুল কালামের বাড়িতে পরিবার নিয়ে ভাড়া থাকেন। সেখানে বাঘের বাজারে তিনি হোটেল ব্যবসা করেন। শনিবার বেলা ১২টার দিকে শারমিন নিখোঁজ হয়। এরপর একটার দিকে শারমিনকে অপহরণ করা হয়েছে জানিয়ে তিনলাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে একব্যক্তি। টাকা নিয়ে টঙ্গীতে যেতে বলা হয় জাহাঙ্গীরকে।
এদিকে শিশু শারমিনকে খোঁজাখুজির এক পর্যায়ে পাশের ভাড়াটিয়া মাহবুব (২৭) ও রাব্বির (২০) ঘরে টয়লেটের ভেতর পাওয়া যায় শারমিনের লাশ। খবর পেয়ে পুলিশ দুজনকে গ্রেপ্তারের পাশাপাশি লাশ উদ্ধার করে।
জয়দেবপুর থানার ওসি জাবেদুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জ্ঞিাসাবাদে মাহবুব ও রাব্বি শিশু শারমিনকে অপহরণ ও হত্যার কথা স্বীকার করেছে। শারমিনকে অপহরণ করে ঘরে আনার পর সে কান্নাকাটি শুরু করে। তখন অপহরণের ২০ মিনিটের মধ্যেই তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়। লাশ টয়লেটে লুকিয়ে তারা শিশুটির বাবার কাছে তিনলাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। পেশায় দিনমজুর মাহবুবের বাড়ি ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে। রাব্বির বাড়ি নেত্রকোনার কেন্দুয়ায়।