সৌদি আরবে মারা যাওয়া প্রবাসীর লাশ বাংলাদেশে পাঠাবে না সৌদি কর্তৃপক্ষ। লাশ স্থানীয়ভাবে সৌদি আরবেই দাফনের জন্য এক নির্দেশনা জারি করেছে সৌদি সরকার।
চলমান করোনা পরিস্থিতিতে দীর্ঘদিন ধরে বিমান চলাচল বন্ধ থাকায় লাশ সংরক্ষণকারী হিমাগারে স্থান সংকুলান হচ্ছে না, কারণ দেখিয়ে এ নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।
দেশটির নিয়মানুযায়ী, হাসপাতালের মর্গে একটি লাশ সর্বোচ্চ ৬০ দিন পর্যন্ত রাখা যায়। এ সময়ের মধ্যে লাশ দাফনের বিষয়ে কোনো সুরাহা না হলে দাফনের বিধান রয়েছে। বেওয়ারিশ লাশের ক্ষেত্রেও একই অবস্থা।
তবে বর্তমানে সৌদির মর্গগুলোতে লাশ রাখার জায়গা নেই বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ মিশন সূত্র।
জানা যায়, বিভিন্ন কারণে সৌদিতে মারা যাওয়া বাংলাদেশি প্রবাসীদের লাশ দীর্ঘদিন হিমাগারে পড়ে আছে। করোনার কারণে বিমান চলাচল বন্ধ থাকায় প্রবাসীদের এসব লাশ নিজ দেশে পাঠানো সম্ভব হচ্ছে না। এরই মধ্যে মর্গে নতুন লাশ আসছে। কিন্তু নতুন করে কোনো লাশ রাখার জায়গা থাকছে না। তাই বাধ্য হয়েই পুরনো লাশ দাফন করতে হবে।
একটি সূত্র জানিয়েছে, শুধু রিয়াদের সিমুশি হাসপাতালের হিমঘরে বাংলাদেশের ৩৫ লাশ রয়েছে।
এমনইভাবে দেশটির অন্যান্য শহরের বড় বড় সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে অনেক লাশ পড়ে আছে। স্বাভাবিক মৃত, হৃদরোগে মৃত, সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত এবং হালের করোনায় মৃত লাশের সংখ্যা প্রতিদিনই বাড়ছে।
অন্য আরেকটি সূত্র জানায়, সৌদির পূর্বাঞ্চলে (দাম্মাম, আহসা, জুবাইল, ক্বাতিফ) ৯টি লাশ আছে। পরিবার সিদ্ধান্ত না দেয়ায় মৃতদেহগুলো পড়ে আছে। খুব সম্ভব নতুন নিয়মে বেওয়ারিশ হিসেবে লাশগুলো দাফন হয়ে যাবে।