হেভিওয়েট প্রার্থীদের মধ্যে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারছেন না। আর ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেশের বাইরে রয়েছেন। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর লড়বেন ঠাকুরগাঁও-১ আসন থেকে। তিনি অবশ্য বগুড়া-৬ আসনেও ধানের শীষের প্রার্থী হতে পারেন।
স্থায়ী কমিটির প্রবীণ সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন এবার দু’টি আসনে ধানের শীষ প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। কুমিল্লা-১ ও কুমিল্লা-২ আসনে লড়বেন তিনি। এবারের নির্বাচনে ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন একমাত্র ব্যক্তি, যিনি দু’টি আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন।
বিএনপির আরেক হেভিওয়েট প্রার্থী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ লড়বেন নোয়াখালী-৫ আসন থেকে। এখান তার প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য ড. মঈন খান লড়বেন নরসিংদী-২ আসন থেকে। একাধিকবারের সংসদ সদস্য সাবেক মন্ত্রী মঈন খান বর্তমানে বিএনপির বিদেশনীতিটা সামলান। দলটির কূটনৈতিক কোরের অন্যতম সদস্য তিনি।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য মির্জা আব্বাস লড়বেন ঢাকা-৮ আসন থেকে। একাধিকবারের সংসদ সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী মির্জা আব্বাস ঢাকায় বিএনপির রাজনীতির কিং হিসেবে খ্যাত।
বিএনপির নীতিনির্ধারণী ফোরামের আরেক গুরুত্বপূর্ণ নেতা গয়েশ্বর চন্দ্র রায় লড়বেন ঢাকা-৩ আসন থেকে এবং স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী নির্বাচন করবেন চট্টগ্রাম-১১ আসন থেকে। বিএনপির প্রভাবশালী এ দুই নেতা নিজ নিজ আসনে একাধিকবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। বিগত বিএনপি সরকারের আমলে মন্ত্রীও ছিলেন।
স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার এবং মাহবুবুর রহমান এবার স্বেচ্ছায় প্রার্থী হননি। এর বাইরে দণ্ডপ্রাপ্ত হওয়ায় ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম নির্বাচনে নেই। নেই সাদেক হোসেন খোকাও। স্থায়ী কমিটির অন্যতম সদস্য নজরুল ইসলাম খান নির্বাচনে কখনো আগ্রহ দেখাননি। আর কেন্দ্রিয় নেতাদের মধ্যে সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী এম মোর্শেদ খানকে শেষ মুহূর্তে মনোনয়ন দেয়নি বিএনপি।
হেভিওয়েটদের মধ্যে আরো বাদ পড়েছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু ও সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী আ ন ম এহছানুল হক মিলন। মিলনকে মনোনয়ন না দেয়ায় তার সমর্থকেরা শনিবার বিক্ষোভ করেছেন।