একদিকে করোনা মহামারীতে চীনের পক্ষপাতিত্ব করার অভিযোগ উঠেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিরুদ্ধে। অন্যদিকে, এই পরিস্থিতির মধ্যেই চীনের মানচিত্রে ভারতের লাদাখকে জুড়ে ফেলল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা ‘হু’। তাদের ওয়েবসাইটে চীনের ম্যাপে দেখা যাচ্ছে লাদাখের কিছুটা অংশ।
ওই মানচিত্রে ভারত অধিকৃত লাদাখের একটা অংশ চীনের অংশ হিসেবে দেখা যাচ্ছে। আবার জম্মু ও কাশ্মীরকে আলাদা রঙ দিয়ে চিহ্নিত করা হয়েছে। অধিকৃত কাশ্মীরকে আলাদা করে দেখানো হয়। কিন্তু এই প্রথমবার কোনও মানচিত্রে কাশ্মীরকে আলাদ রঙে, লাদাখকে আলাদা রঙে দেশের নাকি অংশকে আলাদা রঙে চিহ্নিত করা হয়েছে।
চিনে ভারতের প্রাক্তন রাষ্ট্রদূত গৌতম বাম্বাওয়ালে বলেন, জাতিসংঘের নিয়ম মেনে ওই ম্যাপ তৈরি হয়নি। কাশ্মীরকে ভারতের অংশ হিসেবে দেখানো হয়নি।
উল্লেখ্য, কিছুদিন আগে চীনের বিরুদ্ধে উঠেছিল একই অভিযোগ। অরুণাচল প্রদেশের কিছু অংশ চীনের নিজেদের বলে দাবি করে থাকে। অভিযোগ, এক নতুন ম্যাপে অরুণাচলের বেশ কিছু অংশ যোগ করে নিয়েছে চীন।
‘স্কাই ম্যাপ’ নামে এক সংস্থা নতুন এই আপডেটের ম্যাপ তৈরি করেছে। জানা যায়, বেইজিং-এর ন্যাশনাল সার্ভেয়িং অ্যান্ড ম্যাপিং জিওগ্রাফিক ইনফরমেশন ব্যুরোর তত্ত্বাবধানে এই ম্যাপ তৈরি হয়। সম্প্রতি দেখা গিয়েছে, সেই স্কাই ম্যাপেই চীনের নতুন ম্যাপ। তাতে রয়েছে নতুন ইন্টারন্যাশাল বর্ডার। আর সেখানে চীনের সীমান্তের মধ্যে রয়েছে অরুণাচল প্রদেশ।
ব্রিটিশ ভারতের অংশ ছিল অরুণাচল প্রদেশ। পরে ম্যাকমোহন লাইন তৈরি হওয়ার পর থেকে অরুণাচল আনুষ্ঠানিকভাবে ভারতের অংশ হিসেবে পরিচিত হয়। ভারত ও তিব্বতের মাঝে ওই লাইন তৈরি করা হয়।
এতদিন পর্যন্ত ১৯৮৯ তে তৈরি করা ম্যাপই প্রকাশ করে আসছিল ‘স্কাই ম্যাপ।’ এরপর থেকে চিনের সঙ্গে রাশিয়ার সীমান্ত সমস্যাও সমাধান হয়েছে। কিন্তু, সেসব আপডেট করা হয়নি ম্যাপে।