ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আসা এক অন্তঃসত্ত্বা নারী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ায় বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে গাইনি বিভাগের একটি অপারেশন থিয়েটার। গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এ সিদ্ধান্ত নেয়। এছাড়া গাইনি বিভাগের চিকিৎসা কার্যক্রম সীমিত করা হয়েছে। হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে ইউনিটের ৭ জন চিকিৎসক, ৩ জন ইন্টার্ন চিকিৎসক, ৬ জন নার্সসহ মোট ১৬ জনকে।
জানা গেছে, ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের গাইনি ওয়ার্ডে প্রতিদিন অর্ধশতাধিক নারী সেবা নিতে ভর্তি হন। গত বৃহস্পতিবার শেরপুর থেকে আসা এক অন্তঃসত্ত্বা নারী বিভাগের একটি ওয়ার্ডে ভর্তি হন। হাসপাতাল সূত্র জানায়, গত শুক্রবার অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে ওই নারীর ছেলে সন্তানের জন্ম হয়।
ওই নারীর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে গত শনিবার ভোরে তাকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) স্থানান্তর করা হয়। গত রোববার তার নমুনা হাসপাতালের পিসিআর ল্যাবে পাঠানো হয় এবং গতকাল সোমবার ওই নারী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত বলে জানা যায়।
পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ গাইনি বিভাগের অপারেশন থিয়েটার বন্ধ ঘোষণা করে। গতকাল সন্ধ্যায় চিকিৎসক, নার্সসহ ১৬ জনকে হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার পরামর্শ দেয়। তবে জরুরি প্রয়োজন বিবেচনায় গাইনি বিভাগের একটি অপারেশন থিয়েটার খোলা রেখেছে কর্তৃপক্ষ।
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপপরিচালক সাইফুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে গণমাধ্যমে জানান, করোনায় আক্রান্ত নারীকে জেলার এসকে হাসপাতালের আইসোলেশন ইউনিটে স্থানান্তর করা হয়েছে।
এদিকে গত সপ্তাহে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন ও কিডনি ডায়ালাইসিস ইউনিটে দুজন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী তথ্য গোপন করে চিকিৎসা নেন। বিষয়টি প্রকাশ পাওয়ার পর দুই ইউনিটের চিকিৎসা কার্যক্রম স্থগিত করে কর্তৃপক্ষ। একই সঙ্গে দুই ইউনিটের প্রায় অর্ধেক চিকিৎসক, নার্স ও কর্মচারীকে হোম কোয়ারেন্টিনের পরামর্শ দেয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে বিষয়গুলো নিয়ে আরও সতর্ক হতে পরামর্শ দিয়েছেন বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) ময়মনসিংহ শাখার সভাপতি মতিউর রহমান ভূঁইয়া।