কিশোরগঞ্জে আধুনিক রাইস মিল করার পরামর্শ প্রধানমন্ত্রীর

hasinaকিশোরগঞ্জে প্রচুর ধান ও মাছ উৎপাদন হলেও সেগুলো সংরক্ষণের জন্য আধুনিক চালের মিল কিংবা মাছের হ্যাচারি গড়ে ওঠেনি। গড়ে ওঠেনি কোনো শিল্প কলকারখানা। এই প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমার মনে হয় সেখানে অনেক ব্যবসায়ী আছে; একটা আধুনিক রাইস মিল যদি করা যায়, তাহলে এই কৃষকরাও যথাযথ দাম পাবে, আর এই ফসলটাও আমরা রাখতে পারব। কিশোরগঞ্জের মাছ-চাল এগুলো দিয়েই তো অনেক মানুষ সম্পদশালী হয়ে যাবে। সেটির ব্যবস্থা করলে ভালো হয়।

সোমবার (২০ এপ্রিল) সকালে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে ঢাকা বিভাগের কিশোরগঞ্জ, টাঙ্গাইল, গাজীপুর ও মানিকগঞ্জ জেলা এবং ময়মনসিংহ বিভাগের জেলাগুলোর সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

হাওর বিল খ্যাত কিশোরগঞ্জে ব্যাপক পরিমাণে ধান উৎপাদনের দিকটির কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তবে কিশোরগঞ্জে এত ধান হয়। সেখানে বোধহয় কোনো রাইস মিল নেই! আধুনিক রাইস মিল বোধ হয় কেউ করেনি? করা আছে? কারো আছে ওখানে রাইস মিল।’

এর জবাবে জেলা প্রশাসক এবং জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বলেন, ‘না স্যার…না আপা।’

এরপর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বলেন, ‘রাইস মিল নাই, কোন রাইস মিল নাই। কারণ হইছে কি হাওর এলাকা তো! আপনার বদান্যতায় এবং মহামান্য রাষ্ট্রপতির চেষ্টায় আমাদের তো যোগাযোগ ব্যবস্থাটা হইছে? কারণ এতদিন তো কোনো যোগাযোগ ব্যবস্থাই আমাদের ছিল না।’

তার পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আসলে তা না, আসলে সেটা না। ওই কিশোরগঞ্জের মানুষ কিশোরই থেকে গেছে। তারা চিন্তাই করে নাই, যে একটা রাইস মিল লাগবে। বা কিছু লাগবে। ইউনিভার্সিটি করা? তারপরে হাওরে মাছ ওঠে, তার জন্য হ্যাচার্ড তৈরি করা অর্থাৎ মাছের যে ধরে একটা রাখা, একটা বরফ কল ছিল না। তো আমি এইজন্য বললাম, কিশোরগঞ্জ একদিকে কিশোর থেকে গেছে, আবার ওদিক থেকে দেখা গেল, কিশোরগঞ্জ তো রাষ্ট্রপতির জেলা।’

‘কিশোরগঞ্জ থেকেই স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালীন সময় উপ-রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম সাহেব, অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি হিসাবে যুদ্ধ পরিচালনা করার দায়িত্ব নিলেন এরপর জিল্লুর রহমান সাহেব রাষ্ট্রপতি, এখন হামিদ সাহেব রাষ্ট্রপতি; মানে কিশোরগঞ্জ হলো রাষ্ট্রপতির জেলা। সে জন্য কিশোরগঞ্জ মনে করে আমরা তো রাষ্ট্রপতি; এটাও আবার একটা বিষয় আছে। এ জন্য বোধহয় কিছুই হয় না’ বলেন প্রধানমন্ত্রী।

বিশ্ব পরিস্থিতি তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এখন যে অবস্থা এটা কতদিন চলবে সেটা কেউ বলতে পারে না। দ্বিতীয় কথা হচ্ছে, বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক অবস্থা স্থবির। অনেক আন্তর্জাতিক অবস্থাই বলছে, এমনকি জাতিসংঘের মহাসচিব থেকে শুরু করে সবাই বলছে, সারাবিশ্বে দুর্ভিক্ষ ও অর্থনৈতিক মন্দা দেখা দেবে। সে কারণে আমরা প্রণোদনা দিয়েছি। সেটা আশুকরণীয়, আবার দীর্ঘমেয়াদি। তিন বছরের জন্য আমাদের শিল্প কলকারখানা কৃষি সবক্ষেত্রেই আমরা কিন্তু ব্যবস্থা নিয়েছি।’

Share this post

scroll to top