ইন্দোনেশিয়ার সৈন্যরা দেশটির গোলযোগপূর্ণ পাপুয়া প্রদেশে নির্মাণ শ্রমিকদের সন্দেহভাজন হত্যাকারীকে ধরতে বুধবার অভিযান শুরু করেছে। সেনাবাহিনীর কাছে এক প্রত্যক্ষদর্শী ব্যাপক হত্যাযজ্ঞের বর্ণনা দিয়েছে।
জীবিতরা অন্তত ১৯ জনের মৃত্যুর বর্ণনা দিয়েছে। কোন কোন খবরে নিহতের সংখ্যা ৩১ বলা হয়েছে। ঘটনাটি নিশ্চিত হলে এই অঞ্চলে এটাই হবে কয়েক বছরের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ সহিংসতার ঘটনা। এখানে কয়েক দশক ধরে স্বাধীনতার জন্য বিদ্রোহী তৎপরতা চলছে।
নাডুগায় প্রায় ১৫০ সেনা সদস্য অভিযানে অংশ নিয়েছে। পিছিয়ে পড়া অঞ্চলটির অবকাঠামো উন্নয়নের অংশ হিসেবে সরকারি মালিকানাধীন কন্ট্রাক্টর ইসতাকা কারিয়ার কর্মীরা সেতু ও রাস্তা নির্মাণ করছেন।
পাপুয়ার বেশ কিছু বাসিন্দা ইন্দোনেশিয়ার সরকারের অবকাঠামো উন্নয়ন কার্যক্রমে ক্ষুব্ধ হয়েছেন। তারা বলছেন, এটা ওই অঞ্চলটির উপরে সরকারের অধিকতর নিয়ন্ত্রণের প্রচেষ্টা। অঞ্চলটির সাথে স্বাধীন দ্বীপরাষ্ট্র পাপুয়া নিউগিনির সীমান্ত রয়েছে।
এখন পর্যন্ত বেশ কয়েকজন বেসামরিক লোক ওই এলাকা থেকে পালিয়ে এসেছে। এদের মধ্যে গুলিবিদ্ধ তিনজনসহ চার শ্রমিক রয়েছে।
পাপুয়ার সেনা মুখপাত্র মুহাম্মদ আইদি বলেন, ‘আজ আমরা অবশিষ্ট আহতদের সরিয়ে আনা ও দুষ্কৃতকারীদের খোঁজে তল্লাশী শুরু করেছি।’
বুধবার ওই অঞ্চলে হামলার হাত থেকে বেঁচে যাওয়া একজন জানিয়েছে, শনিবার প্রায় ৫০ বিদ্রোহী শ্রমিকদের শিবিরে ঢুকে তাদের হাত পিছমোড়া করে বেঁধে নিয়ে যায়। পরের দিন বিদ্রোহীরা বেশ কয়েকজন শ্রমিককে গুলি করে হত্যা করে। এদের মধ্যে কয়েকজন পালানোর চেষ্টা করছিল।
হামলাকারীরা পলাতক ছয় শ্রমিককে পুনরায় আটক করে তাদের গলা কেটে হত্যা করে। তিনি বলেন, অন্তত ১৯ শ্রমিককে হত্যা করা হয়েছে।