করোনা মোকাবেলায় ময়মনসিংহ বিভাগের ৪ জেলায় অসহায় দুস্থ্যদের জন্য সরকারের দেয়া ওএমএস ও খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চুরি হয়ে যাওয়া প্রায় ৭শ’ বস্তা চাল উদ্ধার করেছে পুলিশ। এতে করে ৩৯ হাজার ৩৫০ কেজি চাল উদ্ধার হয়েছে যার আনুমানিক মূল্য ধরা হয়েছে ১০ লক্ষ ৮৬ হাজার ৮১০ টাকার। এসব ঘটনায় চলতি মাসে ১৯৭৪ সনের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ২৫(১) ও ২৫(ঘ) ধারায় জেলায় ১১টি মামলা দায়ের ও একটি ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা হয়েছে। মামলার প্রেক্ষিতে এজাহারনামীয় আসামী করা হয়েছে ১৫ জনকে এর মধ্যে হানেনাতে ৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
ময়মনসিংহ রেঞ্জ ডিআইজি কার্যালয়ের তথ্য মতে, চলতি মাসে ময়মনসিংহ বিভাগে ওএমএস ও খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় চুরি হয়ে যাওয়া মালামাল উদ্ধারে এগিয়ে আছে জামালপুর জেলা। জামালপুরে এ পর্যন্ত ৬টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এসব মামলার বিপরীতে ৫৫৪ বস্তা চাল যার পরিমাণ হচ্ছে ৩৩ হাজার ২১৫ কেজি এবং এর আনুমানিক মূল্য দেখানো হয়েছে ৯ লাখ ৮৬ হাজার ৮৬০ টাকা।
৬ টি মামলার বিপরীতে এজাহারভ’ক্ত ৯জনের মধ্যে ৩ জন আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এরপর বাকী ৩ জেলায় ১টি করে মোট ৩টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এর মধ্যে শেরপুরে ৩৩ বস্তা চাল উদ্ধার করা হয়েছে যার ওজন ৯৯০ কেজি এবং চালের টাকার পরিমাণ ৪৩ হাজার। এ মামলায় এজাহার নামীয় আসামী মানিক মিয়াকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া থানায় ৯২ বস্তা চাল উদ্ধার করা হয়েছে। চালের ওজন ৪ হাজার ৫৯ কেজি এবং এর মূল্য ধরা হয়েছে ৪৫ হাজার ৯৫০ টাকা। এই মামলায় এজাহারানামীয় আসামী আমিনুল ইসলাম ওরফে শাকিল (৩৫) ও সাইফুল ইসলাম(৪৫)কে গ্রেফতার করা হয়েছে।
ময়মনসিংহ জেলায় ৫ বস্তা চাল যার ওজন ১৫ কেজি এবং মূল্য ধরা হয়েছে ৩ হাজার টাকা। এই মামলায় এজাহার নামীয় ৩ জনের মধ্যে ১জন আসামীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
এছাড়া ত্রিশালের বইলর বাজারের ডিলার আব্দুল খালেকের গুদাম থেকে চলতি মাসের ২ তারিখে ১৬ বস্তা খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল জব্দ করেন। এসময় ডিলার আব্দুল খালেকের অনুপস্থিতিতে ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহি ম্যাজিস্ট্র্যাট ও ত্রিশালের সহকারী কমিশনার ভূমি তরিকুল ইসলাম ২০ হাজার টাকা জরিমানা এবং ডিলারশীপ বাতিল করেন।