মহামারী করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কন্টিনজেন্সি খাত (দৈব খাত) থেকে শিক্ষার্থীদের জন্য ১০ কোটি টাকার বরাদ্দ চেয়ে ৩ দফা দাবি জানিয়েছে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) শাখা ।
লিখিত বিবৃতিতে এ দাবি জানিয়েছেন সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট, বাকৃবি শাখার সভাপতি ইশরাত জাহান শাপলা ও সাধারণ সম্পাদক প্রবাল রায় প্রান্ত। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দপ্তর সম্পাদক শান্তনু বনিক উচ্ছ্বাস।
দাবি তিনটি হলো বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষার্থীর ৬ মাসের সেমিস্টার ফি মওকুফ করতে হবে, করোনা মহামারীতে অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের শিক্ষার্থীদের ২০০০ টাকা করে নূন্যতম ৬ মাস শিক্ষাবৃত্তি প্রদান করতে হবে এবং ২০২০-২১ অর্থবছরে গবেষণা খাতে বর্ধিত বরাদ্দ নিশ্চিত করতে হবে এবং একই সাথে গবেষণার মাধ্যমে ভবিষ্যতে কৃষি ও অর্থনীতির যেকোন জাতীয় সংকট মোকাবেলায় দক্ষ গ্র্যাজুয়েট তৈরি নিশ্চিত করতে হবে।
লিখিত বিবৃতিতে বলা হয়, করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে দেশে চলছে সাধারণ ছুটি । অন্যদিকে শুরু হয়েছে স্বাস্থ্য ও চিকিৎসার সংকট। আর দ্বিতীয় সংকট হিসাবে দেখা দিতে হতে পারে খাদ্য ও মানবিক সংকট। যেহেতু সংক্রমণ বিস্তার রোধে প্রায় পূর্ণাঙ্গ ‘লকডাউন’ শুরু হয়েছে, তাই নিম্ন আয়ের মানুষ অর্থ ও সঞ্চয় সংকটে পড়বে। শুরুতেই সঞ্চয়হীন ভাসমান মানুষ, দিনমজুর, বৃদ্ধ-অনাথ-এতিম, রিকশা, ছোট কারখানা, নির্মাণশ্রমিক যাঁরা ‘দিন আনে দিন খান’, তাঁরা লকডাউনের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকেই আয় হীনতার কারণে খাদ্যের সংকটে পড়েছেন।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, করোনার কারণে দেশ এখন প্রায় অবরুদ্ধ। কৃষক তাঁর ফসল নিয়ে পড়েছেন বিষম বিপাকে। বাংলাদেশের জাতীয় অর্থনীতির মূল চালিকা শক্তি কৃষি। আজ বাংলাদেশ যে খাদ্যে প্রায় স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়ে উঠেছে। তার পেছনে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অবদান সর্বোচ্চ। এখানকার গ্র্যাজুয়েটরা কৃষি বিভাগকে আধুনিকায়ন করতে ভূমিকা রেখেছেন। ধান, গম, ডাল, তৈলবীজ, ইক্ষু, তরিতরকারি শুধু নয়, ফলমূলের উৎপাদন, পশুপালন, হাঁস-মুরগি পালন এবং মৎস্য পালন প্রভৃতি ক্ষেত্রে কৃষকদের সহযোগিতা করে চলেছে।
এই কঠিন পরিস্থিতিতে দেশের খাদ্য, কৃষি ও অর্থনীতির সার্বিক বিপদ মোকাবিলায় বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে এবং ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বিশ্ববিদ্যালয়ের বাজেটের কন্টিনজেন্সি বা দৈব খাতকে কাজে লাগিয়ে এই দুর্যোগ পরবর্তী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আর্থিক ভোগান্তি লাঘবের জন্য প্রশাসন কার্যকারী পদক্ষেপ নিবেন বলে আশা প্রকাশ করেন সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট , বাকৃবি শাখার নেতৃবৃন্দ