জামালপুরে করোনায় মৃত্যু : ১ ইউনিয়ন লকডাউন

জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলার চরবানি পাকুরিয়া ইউনিয়ন লকডাউন ঘোষণা করেছে উপজেলা প্রশাসন। সোমবার সন্ধ্যায় এ ঘোষণা দেয়া হয়েছে।

জানা গেছে, ঢাকার এক কারখানায় একজন নারী শ্রমিক করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়ায় তার সংস্পর্শে থাকা ৩৫ জন নারী-পুরুষ জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলার চরবানি পাকুরিয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে চলে যান।

অন্যদিকে গত রোববার জেলার মেলান্দহ উপজেলার ঘোষেরপাড়া ইউনিয়নের বীর ঘোষেরপাড়া গ্রামে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হওয়ায় ওই দিন রাতেই ঘোষেরপাড়া ইউনিয়ন লকডাউন ঘোষণা করে উপজেলা প্রশাসন। তার সংস্পর্শে আসাপাশের চরবানি পাকুরিয়া ইউনিয়নের ৩০টি বাড়িও লকডাউন ঘোষণা করা হয়।

এ ব্যাপারে জামালপুরের সিভিল সার্জন ডাক্তার আবু সাঈদ মো: মাহবুবুর রহমান সাংবাদিকদের জানান, চরবানি পাকুরিয়া ইউনিয়নে এখন পর্যন্ত কেউ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়নি। সার্বিক নিরাপত্তা ও করোনা ঝুঁকি এড়াতে এ ইউনিয়নটিকে লকডাউন করা হয়েছে।

তিনি আরো জানান, মেলান্দহের ঘোষেরপাড়া ইউনিয়নে যে যুবকটির করোনা শনাক্ত হয়েছে তার সাথে ঢাকায় একই রুমে থাকতেন আরো তিনজন গার্মেন্টসকর্মী। তাদের বাড়ি মেলান্দহের চরবানি পাকুরিয়া ইউনিয়নের দুটি গ্রামে। তারা বাড়ি এসেছেন- এমন খবর আমরা পেয়েছি। তাদের খোঁজখবর নেয়া হচ্ছে।

এদিকে মেলান্দহ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তামীম আল ইয়ামিন সাংবাদিকদের জানান, করোনায় আক্রান্ত হয়ে যে নারী শ্রমিকটি ঢাকায় মারা গেছেন, কোনো না কোনোভাবে তার সংস্পর্শে এসেছিলেন ৩৫ জন নারী-পুরুষ। তারা তাদের নিজ বাড়ি মেলান্দহের চরবানি পাকুরিয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে চলে আসায় ওই ইউনিয়নটি লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে।

তিনি আরো জানান, এ পর্যন্ত মেলান্দহ উপজেলায় দুটি ইউনিয়ন লকডাউন ঘোষণা করা করেছে। ওই দুই ইউনিয়নের সব বাড়ির লোকজনদের হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। লকডাউনের কারণে বিপাকে পড়া পরিবারগুলোর জন্য সরকারি খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দেয়ার প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে।

Share this post

scroll to top