করোনাভাইরাস রোধে ঘরে থাকার কর্মসূচির মধ্যে ময়মনসিংহে হতদরিদ্রদের জন্য দেওয়া সরকারি ১৬ বস্তা চাল উদ্ধার করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
বৃহস্পতিবার বিকালে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোস্তাফিজুর রহমান ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) তরিকুল ইসলাম তুষারের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে এ চাল উদ্ধার করা হয়েছে।
আগে থেকে চলমান বিভিন্ন খাদ্য কর্মসূচি ছাড়াও সাধারণ ছুটির মধ্যে সরকার দরিদ্র মানুষের জন্য নয় কোটি ৮১ লাখ টাকা এবং ৩০ হাজার ৬১৭ মেট্রিক টন চাল বিশেষ বরাদ্দ দেয়। দেশব্যাপী সেই সব চাল বিতরণ চলাকালেই এ চাল চুরির খবর এল।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোস্তাফিজুর রহমান জানান, উপজেলার বইলর ইউনিয়নে ‘হতদরিদ্রদের জন্য খাদ্য বান্ধন’ কর্মসূচির ডিলারের দোকানে বিতরণের জন্য দুই বস্তা চাল আছে, আর কোনো চাল নেই-চাল নিতে আসা হতদরিদ্রদের এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে অভিযান চালানো হয়।
“এ সময় ডিলারের গুদাম থেকে চুরি করে গোপন করে রাখা ৩০ কেজি চালের ১৬টি বস্তা উদ্ধার করা হয়েছে।”
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তরিকুল ইসলাম বলেন, “অভিযান চালিয়ে ১৬ বস্তা চাল আটক করেছি।
“তবে ডিলার আবু খালেককে এ সময় ঘটনাস্থলে পাওয়া যায়নি। তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
ডিলার আবু খালেকের যিনি তার ফেইসবুকে পেইজে পরিচয় দিয়েছেন- বাংলাদেশ কৃষক লীগের বইলর ইউনিয়নে আহ্বায়ক হিসেবে।
খাদ্য বিভাগ সংশ্লিষ্ট ডিলার আবু খালেকের ডিলারশিপ বাতিলসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলেও জানান নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।
খাদ্য অধিদপ্তর পরিচালিত ‘হতদরিদ্রদের জন্য খাদ্য বান্ধন কর্মসূচির নিয়মিত দেখভালের দায়িত্বে রয়েছেন উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা উজ্জল কুমার দত্ত। তার গাফেলতিতে ডিলাররা এমন ঘটনা ঘটানোর সুযোগ পেয়েছেন বলে অভিযোগ করছে স্থানীয়রা।
সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী কর্মকর্তাদের নিয়মিত অফিসে থাকার কথা থাকলেও সাধারণ ছুটি ঘোষণার পর তাকে অফিসে পায়নি বলেও তারা অভিযোগ তুলেছেন।
এই অভিযানে খাদ্য গুদামের কর্মকর্তা মোখলেছুর রহমান, ত্রিশাল থানার উপ-পরিদর্শক জাহাঙ্গীর উপস্থিত থাকলেও তাকে দেখা যায়নি।