ময়মনসিংহে স্ত্রীকে পিটিয়ে হত্যা : স্বামী-ভাসুর পলাতক

Gaforgaounময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে তিন সন্তানের জননী জেসমিন আক্তার (৪৩) নামের এক গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে। উপজেলার পাচুঁয়া গ্রামে বুধবার সকালে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর জেসমিনের স্বামী মো. স্বাধীন মিয়া ও ভাসুর ইউপি সদস্য বাবুল পলাতক রয়েছে।

থানা পুলিশ, এলাকাবাসী ও গৃহবধূর পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, স্বাধীন মিয়া ও জেসমিন দম্পতির প্রাপ্তবয়স্ক দুই ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। সবচেয়ে ছোট ছেলে মো. হবী প্রবাসী, বড় মেয়ে মোছা. শাহীনকে বিয়ে দিয়েছেন। স্বাধীন মিয়া প্রায়ই জেসমিনকে প্রায়ই মারধর করতো। গত তিন মাস আগে স্বাধীন মিয়া ও তার ভাই বাবুল জেসমিনকে বেধড়ক পিটিয়ে গুরুতর আহত করে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। জেসমিন তার পিতার বাড়িতে আশ্রয় নেয়। একমাস পর সুস্থ হলে পারিবারিকভাবে মীমাংসার পর জেসমিন আবার স্বামীর বাড়িতে ফিরে আসে। জেসমিন স্বামীর বাড়িতে আসলে স্বামী স্বাধীন মিয়া আবারও জেসমিনের প্রতি অত্যাচার, নির্যাতন বাড়িয়ে দেয়। গত সোমবার রাতে পারিবারিক কলহের জের ধরে লাঠি ও ইট দিয়ে জেসমিনকে বেধড়ক পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। এরপর মঙ্গলবার ভোরে জেসমিনের বড় ছেলে নবী (২১), নবীর চাচাত ভাই সুজন (২৫) ও চাচী রেনু আরা (৪৩) জেসমিনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখান থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে আবার বাড়ি নিয়ে আসেন। জেসমিনের শারীরিক অবস্থা সংকটাপন্ন হলে নবী বুধবার সকালে বাড়ির লোকজনের সহযোগিতায় তার মাকে নিয়ে হাসপাতালের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। হাসপাতালে নেওয়ার পথে জেসমিনের মৃত্যু হয়।

গফরগাঁও থানার এসআই খায়রুল ইসলাম জানায়, জেসমিনের হাত ও পায়ে আঘাতের চিহ্ন আছে। গলায়ও সামান্য দাগ আছে।

জেসমিনের ভাই রুবেল ফকির জানায়, তার বোনকে তার স্বাধীন মিয়া ও বাবুল মেম্বার প্রায়ই মারধর করতো। আমরা মামলা দায়েরের প্রস্তটি নিচ্ছি।

গফরগাঁও থানার ওসি (তদন্ত) মির্জা মাজহারুল আনোয়ার বলেন, জেসমিনের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা দায়ের করলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Share this post

scroll to top