১৯৭২ সালের ১ এপ্রিল ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়ায় টর্নোডের তান্ডবে ১৫০ জন নিহত এবং ৩৬০ জন আহত হয়। সন্ধ্যা ৬টা ৩৫ মিনিটে বয়ে যাওয়া এ টর্নেডোর গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১৫০ মাইল। সদ্যস্বাধীন বাংলাদেশে এত বড় প্রাকৃতিক দুর্যোগ এই প্রথম।
৩ এপ্রিল ডেইলি অবজারভাবের প্রধান সংবাদ অনুযায়ী ফুলবাড়িয়ার ৮টি ইউনিয়নের ৪০ হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এলাকার ৬ হাজার ঘরবাড়ি পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঘটনার পরের দিন ২ এপ্রিল গভীর শোক প্রকাশ করেন। তিনি ক্ষতিগ্রস্তদের প্রতি সহমর্মিতা প্রকাশ করে জানান, সরকারের পক্ষ থেকে সম্ভাব্য সব সহায়তা ও ত্রাণ পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। তিনি বলেন, আমি গভীরভাবে শোকাহত। টর্নেডোর আঘাতে ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়ায় এতগুলো মানুষকে আমরা হারিয়েছি। তিনি হৃদয়ের অন্তঃস্থল থেকে সহমর্মিতা জ্ঞাপন করেন ময়মনসিংহবাসীর জন্য এবং তাদের পরিবারের জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করেন, যাতে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো শোক সইবার শক্তি পায়। ৪ এপ্রিল বঙ্গবন্ধু ময়মনসিংহ যাবেন বলে জানানো হয়। তিনি সেখানে ত্রাণ তৎপরতা নিয়ে প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলেন।
শোকবার্তায় বঙ্গবন্ধু বলেন, যারা বেঁচে গেছেন তাদের প্রতি আমার সরকারের সহমর্মিতা রয়েছে। তাদের সব ধরনের চিকিৎসা সহায়তা এবং ত্রাণ দেওয়া হবে। তারা যেন দুর্যোগ মোকাবিলা করে দ্রুত সেরে ওঠেন, সেই কামনা করেন বঙ্গবন্ধু।