করোনাভাইরাসের কারণে ময়মনসিংহে কমেছে গরুর দুধের দাম। ব্যাপক ক্ষতির মধ্যে পড়েছে ময়মনসিংহের দুগ্ধ খামারিরা। বর্তমানে ময়মনসিংহসহ দেশের সকল মিষ্টিজাতীয় দোকানগুলো বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে প্রান্তিক পর্যায়ের খামারিরা দুধ বিক্রিতে বেশ অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছেন। বাধ্য হয়ে কম দামেই দুধ বিক্রি করতে হচ্ছে। আবার অনেক খামারি দুধ বিক্রিও করতে পারছেন না।
ময়মনসিংহ অঞ্চলের অনেক মানুষ যাদের জীবন জীবিকা এই দুগ্ধ শিল্পের উপর নির্ভর করে, তারা আজ হুমকির মুখে। দিন আনে দিন খায় এমন মানুষের ঘরেও গাভী রয়েছে শুধূমাত্র দৈনিক নিত্য প্রয়োজনীয় বাজার করার টাকার যোগান মেটাতে।
ময়মনসিংহের দুগ্ধ ব্যবসায়ী তাজুল ইসলাম জানান, এখন বাজার বন্ধ থাকায় দুধের চাহিদা একেবারেই নাই। প্রতিদিনের খরচ জোগানো খুব কষ্ট হয়ে যাচ্ছে। তাছাড়া এলাকায় দুধ বিক্রি করলেও খুব কম দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।
ময়মনসিংহ বিভাগীয় ডেইরি ফার্মারস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক হামিদ সরকার জানান, বর্তমানে ময়মনসিংহ বিভাগে ছোট-বড় মিলিয়ে ৭০০ দুগ্ধ খামার রয়েছে। দৈনিক উৎপাদন হয় দেড় লাখ লিটার দুধ। এ দুধগুলো আগে মিষ্টির দোকানদার ও দুগ্ধ প্রক্রিয়াজাতকরণ কম্পানি মিল্ক ভিটা নিতেন খামারিদের কাছ থেকে। এখন দেশের মার্কেটগুলো বন্ধ থাকায় মিল্ক ভিটাও নিচ্ছেন না। খামারিরা এখন নামমাত্র মুল্যে মানুষের কাছে বিক্রি করছেন। তার পরেও অবিক্রিত থেকে যাচ্ছে অনেক দুধ। এখন মানুষের কাছ থেকে টাকা ধার নিয়ে খামার চালাতে হচ্ছে। দুধ বিক্রি না হলেও তো গাভীকে খাবার খাওয়াতে হয়।