জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে দিনদুপুরে ছিনতাই করতে গেলে পাঁচ ছাত্রলীগকর্মীকে হাতেনাতে আটক করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তাকর্মীরা। রোববার দুপুর দুইটার দিকে বোটানিক্যাল গার্ডেন এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।
আটককৃতরা হলেন- লোক প্রশাসন বিভাগের ইয়া রাফিউ শিকদার আপন,সোহেল রানা, মোস্তাফিজুর রহমান,বাংলা বিভাগের মো. সজিব ও আসিফ আহমেদ।তারা সবাই বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৭ ব্যাচের শিক্ষার্থী। এর আগে সুইমিংপুলে এক সাংবাদিক মারধর, ছাত্রী লাঞ্ছনা ও ছিনতাইর অভিযোগে তারা শোকজ ও বিচারাধীন রয়েছে।
ছিনতাইয়ের শিকার মো. জাহেদুর রহমান অর্ণব বিশ্ববিদ্যালয়ের সান্ধ্যকালীন এমবিএ’র শিক্ষার্থী। লিখিত অভিযোগে তিনি জানান, ‘বেলা সাড়ে বারোটার দিকে ভুক্তভোগী জাহেদুর রহমান অর্ণব ও তার বন্ধবী ক্যাম্পাসে ঘুরতে আসেন।দুপুর একটার দিকে তারা বোটানিকাল গার্ডেন এলাকায় গেলে অভিযুক্ত শিক্ষার্থীরা তাদের কোন কারণ ছাড়াই ঘিরে ফেলে। পরে তারা দু’জনকে বোটানিকাল গার্ডেনের ভিতরে নিয়ে যায়। এ সময় তারা অভিযোগকারীদের কাছ থেকে সবকিছু ছিনিয়ে নেয় এবং জোর করে তার বান্ধবীর কানের দুলও ছিনিয়ে নেয় এবং অর্ণবকে মারধর করে ২৫ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করে।
এসময় খবর পেয়ে পাশ্ববর্তী মীর মশাররফ হোসেন হলের কয়েকজন শিক্ষার্থীরা সেখানে গেলে তাদেরকেও শারিরীকভাবে লাঞ্ছিত করে হয়।এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বরাবর আলাদা অভিযোগ করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের মীর মশাররফ হোসেন হলের শিক্ষার্থীরা।
এ অভিযোগের প্রতি উত্তরে ছিনতাইকারীরা বলেন, ‘অর্ণব ও তার বান্ধবিকে বোটানিক্যাল গার্ডেনে আপত্তিকর অবস্থায় দেখে আমরা তাদের পরিচয় জিজ্ঞাসা করলে তারা ভয়ে দৌঁড় দেয়। পরে তাদের পরিচিত ক্যাম্পাসের কয়েকজন সিনিয়র ভাইয়েরা এসে আমাদেরকে মারধর করে প্রক্টর অফিসে নিয়ে আসে।’
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সিকদার মো. জুলকারনাইন বলেন, ‘আটককৃতরা ছিনতাইয়ের সঙ্গে জড়িত ছিলো বলে প্রাথমিক তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে। এর আগেও তাদের বিরুদ্ধে ছিনতাই ও মারধরের অভিযোগ ছিল। আমরা অভিযুক্তদের কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছি। আগামীকাল ডিসিপ্লিনারী বোর্ড অথবা প্রয়োজন হলে ভিসি ম্যাম জরুরি সিন্ডিকেট সভা আহ্বানের মাধ্যমে দৃষ্টান্তমূলক সাজা প্রদান করবে।
এ বিষয়ে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মো.জুয়েল রানা বলেন, ‘ছিনতাইকারী যেই হোক তাদের বিচার দাবি করছি। কোনো অপরাধী বাঁচার জন্য ছাত্রলীগের পরিচয় দিলে তা আমাদের জন্য লজ্জাজনক।’