ভোরের নির্জনে একটি মরদেহ দাফনকে কেন্দ্র করে মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার পয়লা ইউনিয়নের বাইলজুরি গ্রামকে লকডাউন ঘোষণা করেছে উপজেলা প্রশাসন। বুধবার (২৫ মার্চ) ঘিওর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আইরিন আক্তার এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, এই গ্রামের এক ব্যক্তি জ্বর-কাশিতে মারা গেছেন। তাই গ্রামের সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা ও করোনা বিস্তার রোধে নিহতের পরিবারসহ ছয়টি পরিবারের ২৬ সদস্যকে কোয়ারেন্টিন এবং গ্রামটিকে লকডাউন করা হয়েছে। নিহত ব্যক্তির সঙ্গে করোনা ভাইরাসের উপসর্গের মিল থাকায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
তিনি আরও জানান, প্রশাসনকে না জানিয়ে খুব সকালেই নিহত ওই ব্যক্তির দাফন কাজ শেষ করে তার পরিবার। পরে স্থানীয় এক ব্যক্তির মাধ্যমে খবর পেয়ে নিহতের বাড়িতে যায় উপজেলা প্রশাসন। পরে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, নিহত ব্যক্তি ঢাকার বাসায় জ্বর-কাশি নিয়ে ছিলেন। হোম কোয়ারেন্টিনে থাকা অবস্থায় তিনি মারা গেছেন।
নিহতের ভাই আব্দুল মালেক জানান, ঢাকার মেট্রোপলিটন মেডিক্যাল সেন্টারে ক্যাশিয়ার পদে চাকরি করতেন আলমগীর হোসেন (৪৯)। সপ্তাহখানেক আগে তিনি সর্দি-জ্বরে আক্রান্ত হন। হাসপাতাল থেকে তাকে ছুটি দিয়ে হোম কোয়ারেন্টিনে থাকতে বলা হয়। এরপর থেকে তিনি বাসাতেই ছিলেন। মঙ্গলবার রাতে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে তাকে ঢাকার কুর্মিটোলা হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান। ভোর ৪টার দিকে লাশ বাইলজুরি গ্রামে এনে জানাজা শেষে দাফন করা হয়।
শিবালয় সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তানিয়া সুলতানা জানান, লকডাউন ঘোষণার পর পুরো এলাকায় মাইকিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেই সঙ্গে ছয়টি বাড়িতে হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার স্টিকার লাগিয়ে দেওয়া হবে।