করোনা ভাইরাস থেকে মুক্তির জন্য তওবার আহ্বান জানিয়েছে ‘আল-হায়াতুল উলয়া লিল-জামায়াতিল কাওমিয়া বাংলাদেশ। এই প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশের কওমি মাদরাসাসমূহের সরকার স্বীকৃত ইসলামি শিক্ষা বোর্ড। এর চেয়ারম্যান হযরত আল্লামা শাহ আহমদ সফি। রোববার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতির মাধ্যমে এই আহ্বান জানানো হয়।
ময়মনসিংহ লাইভের পাঠকদের জন্য আল-হাইআতুল উলয়া লিল-জামি‘আতিল কওমিয়া বাংলাদেশ’র বিবৃতিটি হুবহু তুলে ধরা হলো-
‘বিশ্বব্যাপী করোনা ভাইরাস যে জটিল ও বিপজ্জ্বনক আকার ধারণ করেছে তা নিঃসন্দেহে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের একটি পরীক্ষা ও আযাব। এটা মানুষের কৃতকর্মের ফল। আল্লাহ তা‘আলা এর দ্বারা মুমিনদের ঈমানের পরীক্ষা নিচ্ছেন। ঈমানের দাবি হল কোনো বিপদাপদের আভাস পেলেই মুমিন নিজের গুনাহের জন্য অনুতপ্ত হয়ে তা বর্জন করবে, আল্লাহর দিকে রুজু হবে, নামাজে দাঁড়িয়ে যাবে এবং তাওবা ও ইস্তিগফার করবে।
আল্লাহ তা‘আলা বলেন : “মানুষের কৃতকর্মের দরুণ স্থলে ও পানিতে বিপর্যয় ছড়িয়ে পড়ে, যার ফলে তাদেরকে তাদের কোন কোন কর্মের শাস্তি তিনি আস্বাদন করান, যাতে তারা ফিরে আসে।” সূরা রূম : ৪১
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, “কোন সম্প্রদায়ের মাঝে যখন বেহায়াপনা ও অশ্লীলতা প্রকাশ্যরূপ ধারণ করে তখন তাদের মাঝে মহামারি ও এমন রোগব্যাধি ছড়িয়ে পড়ে যা পূর্বে কখনও দেখা যায়নি…।” (ইবনে মাজাহ)
তাই বর্তমান পরিস্থিতিতে দায়িত্বশীলগণের পক্ষ হতে সতর্কতামূলক পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বানের পাশাপাশি গুনাহ, পাপাচার, অশ্লীলতা, বেহায়াপনা ও অন্যায়-অবিচার বর্জনের প্রতি আহ্বানও আসা উচিত। এ মুহূর্তে আমাদের করণীয় :
১। সর্বপ্রথম যাবতীয় গুনাহ ও পাপাচার বর্জন করা এবং আল্লাহর নিকট অতীত গুনাহের জন্য তাওবা ও ইস্তিগফার করা।
২। পাঁচ ওয়াক্ত মসজিদের জামাতে ও জুমায় শরিক হওয়া এবং আল্লাহর নিকট এ আযাব হতে মুক্তির জন্য দু‘আ করা।
৩। ফিতনার সময়ের জন্য হাদীসে বর্ণিত দু‘আ ও আমলসমূহ সপরিবারে করা; অধিক পরিমাণে দু‘আয়ে ইউনুস পাঠ করা।
৪। আল্লাহ উপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস বজায় রেখে, আতংকিত না হয়ে সতর্কতামূলক যাবতীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
৫। যারা করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত বা যাদের আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণ আছে তাদের জনসমাগম ও মসজিদের জামাত থেকে বিরত থাকা।’
বিবৃতিদাতাদের নাম :
হযরত আল্লামা শাহ আহমদ সফি, চেয়ারম্যান, আল-হাইআতুল উলয়া লিল-জামি‘আতিল কওমিয়া বাংলাদেশ, হযরত মাওলানা আব্দুল কুদ্দুছ, কো-চেয়ারম্যান, আল-হাইআতুল উলয়া লিল-জামি‘আতিল কওমিয়া বাংলাদেশ, হযরত মাওলানা নূর হোসাইন কাসেমী, হযরত মাওলানা মুফতি মো: ওয়াক্কাস, হযরত মাওলানা মুহাম্মাদ নূরুল ইসলাম, হযরত মাওলানা আতাউল্লাহ ইবনে হাফেজ্জী হুজুর, হযরত মাওলানা আব্দুল হামীদ (পীর সাহেব, মধুপর), হযরত মাওলানা রুহুল আমীন, হযরত মাওলানা শামসুল হক, হযরত মাওলানা আব্দুল হালীম বুখারী, হযরত মাওলানা আবু তাহের নদভী, মুফতী শাসমুদ্দীন জিয়া, হযরত মাওলানা মুহিব্বুল হক, হযরত মাওলানা আব্দুল বছীর, হযরত মাওলানা আরশাদ রাহমানী, হযরত মাওলানা মাহমুদুল আলম, হযরত মাওলানা ফরিদ উদ্দিন মাসউদ, হযরত মাওলানা মোহাম্মাদ আলী, হযরত মাওলানা সাজিদুর রহমান, হযরত মাওলানা মুফতী ফয়জুল্লাহ, হযরত মাওলানা মুছলেহুদ্দীন রাজু, হযরত মাওলানা মাহফুজুল হক, হযরত মাওলানা মুফতী জসীমুদ্দীন, হযরত মাওলানা আনাস মাদানী, হযরত মাওলানা আব্দুর রহমান হাফেজ্জী, হযরত মাওলানা মুফতী নূরুল আমীন, হযরত মাওলানা উবায়দুর রহমান মাহবুব, হযরত মাওলানা মোশতাক আহমদ, হযরত মাওলানা নূরুল হুদা ফয়েজী, হযরত মাওলানা বাহাউদ্দীন যাকারিয়্যা, হযরত মাওলানা ছফিউল্লাহ, হযরত মাওলানা মুহাম্মাদ ইসমাইল।