মানহানির অভিযোগ এনে দৈনিক মানবজমিন-এর প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী ও প্রতিবেদক আল-আমিনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেছেন মাগুরা-১ আসনের এমপি সাইফুজ্জামান শিখর। মামলায় ৩০ জন ফেসবুক ব্যবহারকারীকেও আসামি করা হয়েছে। গত সোমবার রাজধানীর শেরে-বাংলা নগর থানায় এ মামলাটি করা হয়। মামলায় গত ২রা মার্চ মানবজমিন এ প্রকাশিত একটি সংবাদে এমপি শিখরকে নিয়ে ইঙ্গিতপূর্বক তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়। মামলায় সাইফুজ্জামান শিখর উল্লেখ করেন, সংবাদটি প্রকাশের পর তিনি লক্ষ্য করেছেন বিভিন্ন ব্যক্তি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পাপিয়ার খদ্দেরদের আংশিক তালিকাসহ বিভিন্ন শিরোনামে ২৫ থেকে ৩০ জনের একটি তালিকা প্রকাশ করে যাচ্ছে। যার মধ্যে আমার নামও আছে। এ কারণে আমার সম্মানহানি হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ২রা মার্চ মানবজমিন এ প্রকাশিত খবরে মাগুরা-১ আসনের সংসদ সদস্য সাইফুজ্জামান শিখর বা অন্য কারও নাম উল্লেখ করা হয়নি। মানবজমিন-এর প্রিন্ট বা অনলাইন ভার্সনে এ সংক্রান্ত কোন তালিকাও প্রকাশ হয়নি।
এ ঘটনায় সংক্ষুব্ধ হয়ে সুনাম ও ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার অভিযোগ এনে মানবজমিন সম্পাদক, সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদক এবং ফেসবুকে তালিকাগুলো প্রকাশ ও শেয়ারকারী ৩০ ব্যক্তির বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলাটি দায়ের করেন মাগুরা-১ আসনের সংসদ সদস্য মো. সাইফুজ্জামান শিখর।
এজাহারে বাদী দাবি করেন, মানবজমিন পত্রিকার সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী ও উল্লিখিত ব্যক্তিবর্গসহ ষড়যন্ত্রকারীরা পারস্পরিক যোগসাজশ করে উদ্দেশ্যমূলক সংবাদ পরিবেশন করে তাকে সমাজে হেয় করে হীনস্বার্থ হাসিলের অপচেষ্টা করেছেন। এ কারণে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ করেছেন তিনি।
এজাহারে উল্লেখ করা অপর ৩০ অভিযুক্ত ব্যক্তির ফেসবুক আইডি নাম হচ্ছে শফিকুল ইসলাম কাজল; প্রিন্স ফাহিম; আরিফুল ইসলাম আরিফ; জুয়েল আহমেদ; মোহাম্মদ মোসলেম; মোহাম্মদ মিজানুর রহমান; মোর্সেদ আলম; কাকন, আবু হানিফ; মো. রুবেল; আয়েশা আমান; মোহাম্মদ শামীম আক্তার; মো. তৌফিক; মিলি হাসান; হাবিব আদনান; ঋষি কান্ত; মো. সোহেল হোসেন; ছালে আহমেদ; জসিম উদ্দিন জসিম; মো. খাইরুল ইসলাম; হেদায়েতুল ইসলাম কিরন; মো. মাহাফুজ আহমেদ; এম এ মামুন; মো. হেলাল; সেলিম চৌধুরী; ইস্পাত মোহাম্মদ; বেলায়েত হোসেন; মারুফ রেজা ও মকটেল হোসেন মুক্তি।