ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটে বাল্যবিয়ে পড়ানোর অভিযোগে সদর ইউনিয়নের নিকাহ্ রেজিস্ট্রার (কাজী) মো. এনামুল হককে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে আটক করে থানা পুলিশের হাতে সোপর্দ করা হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রেজাউল করিম বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রেজাউল করিম বলেন, শনিবার আমরা সদর কাজীর বিরুদ্ধে বাল্যবিবাহের একটি অভিযোগ পাই। অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা যাচাই করে জানতে পারি গাজিরভিটা ইউনিয়নের গাবরাখালি গ্রামের মৃত রুস্তম আলীর ছেলে মো. জিহাদ মিয়ার বয়স জাতীয় পরিচয়পত্রে ৬ মার্চ ২০০০ থাকলেও কাজীর রেজিস্ট্রারে ১৫ মে ১৯৯৯ দেখানো হয়েছে। সদর ইউনিয়নের বালিচান্দা গ্রামের দেলোয়ার হোসেন এর মেয়ে ইসরাত জাহান এমি’র বয়স ১০ সেপ্টেম্বর ২০০২ থাকলেও তার বয়স ১৮ বছর দেখানো হয়। যেহেতু বিয়ে পড়ানোর ঘটনাটি শুক্রবারে সংগঠিত হয় তাই আমরা অভিযুক্ত কাজীকে থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করি। তার নিকাহ্ রেজিস্ট্রেশন বাতিলের জন্য জেলা প্রশাসক বরারর চিঠি পাঠিয়েছি।
হালুয়াঘাট থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, সদর নিকাহ্ রেজিস্ট্রার (কাজী) এনামুল হকের বিরুদ্ধে থানায় মামলা পক্রিয়াধীন।