রঙ ফর্সাকারী ৮ ক্রিম নিষিদ্ধ

পাকিস্তানে উৎপাদিত ত্বকের রঙ ফর্সাকারী আট ধরনের ক্রিমে পারদসহ ক্ষতিকর উপাদানের মাত্রাতিরিক্ত উপস্থিতি পাওয়ায় সেসব ক্রিম বাংলাদেশে বিপণন নিষিদ্ধ করেছে বিএসটিআই। গতকাল বিএসটিআই’র মান নিয়ন্ত্রণ (সিএম) বিভাগের সহকারী পরিচালক সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
বিএসটিআই জানায়, এক মাস ধরে খোলাবাজার ও অনলাইন শপিং প্ল্যাটফর্ম ‘দারাজ’ থেকে ১৩টি ব্র্যান্ডের রঙ ফর্সাকারী ক্রিম সংগ্রহ করে বিএসটিআইর ল্যাবরেটরিতে মান পরীক্ষা করা হয়। এসব ক্রিমের মধ্যে ছয়টিতে বিপজ্জনক মাত্রায় মানবস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর পারদ ও দু’টি ব্র্যান্ডের ক্রিমে পারদ এবং হাইড্রোকুইনোন উভয়ই পাওয়া গেছে।

বিএসটিআই’র পক্ষ থেকে জানানো হয়, পাকিস্তানের গৌরি কসমেটিকসের গৌরি ব্র্যান্ডের স্কিন ক্রিমে পারদের মাত্রা ৭৫৫.৮৫ পিপিএম; এস জে এন্টারপ্রাইজের চাঁদানী ব্র্যান্ডের ক্রিমে ৬২৯.৯৬ পিপিএম; কিউ সি ইন্টারন্যাশনালের নিউ ফেস ক্রিমে ৫৯০.৩৮ পিপিএম; ক্রিয়েটিভ কসমেটিকসের ডিউ ক্রিমে ২৮৫.৮৮ পিপিএম; গোল্ডেন পার্ল কসমেটিক্সের গোল্ডেন পার্ল ক্রিমে ৬৫৪.১৩ পিপিএম; পুনিয়া ব্রাদার্সের ফাইজা ক্রিমে ৫৯০.৪৫ পিপিএম; নূর গোল্ড কসমেটিকসের নূর ক্রিমে পারদ ১৯৩.৬৮ পিপিএম ও হাইড্রোকুইনোনের মাত্রা ১৯৮০.৬৮ পিপিএম; হোয়াইট পার্ল কসমেটিকসের হোয়াইট পার্ল প্লাস ব্র্যান্ডের স্কিন ক্রিমে পারদ ৯৪৮.৯৩ পিপিএম ও হাইড্রোকুইনোন ৪৩৪.৭৩ পিপিএম মাত্রায় পাওয়া গেছে।

সংগ্রহ করার সময় এসব পণ্যের মোড়কে কোনো আমদানিকারকের ঠিকানা পাওয়া যায়নি। ফলে এগুলো শুল্কায়নের মাধ্যমে বৈধ পথে এসেছে নাকি অবৈধ পথে এসেছে, সে বিষয়ে নিশ্চিত হতে পারেনি বিএসটিআই।

Share this post

scroll to top