ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা ও কোতোয়ালী থানা এলাকায় পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধে দুইজন নিহত হয়েছে। পুলিশের দাবি, তারা মাদক কারবার ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত। এ সময় চারজন পুলিশ কনস্টেবল আহত হন।
ময়মনসিংহ জেলা গোয়েন্দা শাখার ওসি শাহ কামাল হোসেন আকন্দ জানান, শুক্রবার দিবাগত জেলা গোয়েন্দা শাখার একটি টিম মুক্তাগাছা থানা এলাকায় বিশেষ অভিযানে গেলে গোপন সূত্রে সংবাদ পায় যে, মুক্তাগাছা উপজেলার রসুলপুর টু কাঁঠালিয়া ঝলই ব্রীজ সংলগ্ন কিছু অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী ডাকাতির প্রস্তুতি গ্রহণ করছে।
সংবাদ পেয়ে তার নেতৃত্বে (অফিসার-ইনচার্জ জেলা গোয়েন্দা শাখা) সংগীয় অফিসার ফোর্সসহ রাত ১২টার দিকে ঘটনাস্থলে পৌছলে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি করতে থাকে। এতে এসআই (নিঃ) মোঃ নাজিম উদ্দিন, এএসআই (নিঃ) মোঃ মজিদ-১, কনস্টেবল ইব্রাহিম আহত হয়। পুলিশ সরকারী সম্পদ ও আত্মরক্ষার্থে শর্টগানের ফাকা গুলি বর্ষণ করে। এক পর্যায়ে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা গুলি করতে করতে পালিয়ে যায়।
ঘটনাস্থল হতে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী মো: আব্দুল্লাহেল কাফিকে (৩১) গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পাওয়া যায় এবং তার হেফাজত হতে একটি কাঠের বাটযুক্ত এলজি ও ২ রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করা হয়। আহত সন্ত্রাসীকে চিকিৎসার জন্য মুক্তাগাছা থানা পুলিশের সহায়তায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করা হলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহত আব্দুল্লাহহেল কাফি ফুলবাড়িয়া উপজেলার আন্দালিয়া গ্রামের মোস্তাফিজুর রহমানের ছেলে। তার বিরুদ্ধে তিনটির অধিক সন্ত্রাস বিরোধী আইনে মামলা আছে।
এদিকে ডিবি’র আরেকটি টিম শুক্রবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে কোতোয়ালী মডেল থানার ওসির (তদন্ত) নেতৃত্বে মাদক বিরোধী অভিযানের সময় ময়মনসিংহ-কিশোরপঞ্জ সড়কের সদর উপজেলার সাহেব কাচারী বাজারস্থ বিসমিল্লাহ হ্যাচারী সংলগ্ন দরিয়াপুর মাঠের সামনে পৌছলে অজ্ঞাতনামা কয়েকজন মাদক কারবারি পুলিশকে লক্ষ্য করে অতর্কিত গুলিবর্ষণ এবং ঢিল ছুড়তে থাকে। এতে পুলিশ কনস্টেবল সাইদুল ইসলাম ও আরমান উদ্দিন আহত হয়। পুলিশ সরকারী সম্পদ ও আত্মরক্ষার্থে শর্টগানের ফাকা গুলিবর্ষণ করে। এক পর্যায়ে মাদক কারবারিরা গুলি করতে করতে পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থল হতে মাদক কারবারি আলমগীর (২৭) গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পাওয়া যায় এবং তার কাছ থেকে দুই কেজি গাঁজা এবং ঘটনাস্থল হতে ২ টি গুলির খোসা উদ্ধার করা হয়।
নিহত আলমগীন শহরের কালিবাড়িরোডের পুরাতন গোদারাঘাট এলাকার ইব্রাহিমের ছেলে। তার বিরুদ্ধেও একাধিক মাদকের মামলা আছে।