সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের মানববন্ধনে বক্তারা বলেছেন- বেগম খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমানকে দেশের মানুষ হৃদয়ের মধ্য মনি বলে মানে। কোর্ট কি করলো না করলো তা জনগণ কেয়ার করে না। জগগণের হৃদয়ে কোর্টের আদেশ ঢুকাতে পারবেন না।
সরকারকে উদ্দেশ্য করে আইনজীবীরা বলেন, বিচার বিভাগের উপর প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা বন্ধ করুন। সামনে নির্বাচন আসছে। অনতিবিলম্বে সংসদ ভেঙ্গে দিন। পদত্যাগ করুন। নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন দিন। নিজে বাঁচুন, দেশকে বাঁচান, দেশের জনগণকে বাঁচান।
বৃহস্পতিবার আদালত বর্জন কর্মসূচিতে সরকার সমর্থক আইনজীবীদের বিশৃঙ্খলার প্রতিবাদে সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের মানববন্ধন কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে আইনজীবীরা এসব কথা বলেন। সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি জয়নুল আবেদীনের সভাপতিত্বে এতে বক্তব্য রাখেন সম্পাদক ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, তৈমূর আলম খন্দকার, এবিএম ওয়ালিউর রহমান খান, সানাউল্লাহ মিয়া, এবিএম রফিকুল হক তালুকদার রাজা, আবেদ রাজা, মনির হোসেন, ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, মো: আখতারুজ্জামান, গোলাম মোস্তফা, গোলাম রহমান, আইয়ুব আলী আশ্রাফী, আনিছুর রহমান খান, শরিফ ইউ আহমদ প্রমুখ।
সভাপতির বক্তব্যে জয়নুল আবেদীন বলেন, আমরা বুধবার আদালত বর্জনের যে কর্মসূচী দিয়েছিলাম, সেটা বিএনপিপন্থি আইনজীবীদের কর্মসূচী ছিলো না। সেটা ছিল সকল আইনজীবীদের কর্মসূচী সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সিদ্ধান্তে। আপনারা সাংবাদিক, আপনারা সত্য কথা লিখবেন আমরা আশা করি, কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের বিষয়, আজ অনেক পত্রিকায় দেখলাম আপনারা লিখেছেন, বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা আবার আওয়ামীপন্থি আইনজীবীরা।
তিনি বলেন, ওখানে সরকারের বেতনভুক্ত কিছু কর্মচারীরা এসেছে। সে পক্ষে আওয়ামীলীগের সব আইনজীবীরা কিন্তু আসেনি। আজকের প্রোগ্রামটাও কিন্তু আইনজীবী সমিতির। বিএনপিপন্থি আইনজীবীদের না। আজকে বিচার বিভাগ থুবড়ে পড়ছে। বিচার বিভাগ রক্ষার দায়িত্ব দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্টের। এবং সেজন্য আইনজীবী সমিতি বিষয়টিতে ভূমিকা রাখছে, অতীতেও রেখেছে, আগামি দিনেও রাখবে। আমি অন্য বন্ধুদের অনুরোধ করবো আপনারা দয়া করে নির্বাচিত কমিটির কর্মসূচীতে গতকাল যেভাবে ন্যাক্কারজনক ভাবে হাতুড়ি নিয়ে হামলা করেছেন, ভবিষ্যতে এ থেকে বিরত থাকবেন। আজকের মানববন্ধন কর্মসূচী থেকে সে আহ্বান থাকবে।
ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, সুপ্রিমকোর্টকে রক্ষার জন্য বুধবার আমরা কর্মসূচী দিয়েছিলাম। এখানে সবকিছুতেই নতুন নতুন নজির সৃষ্টি হচ্ছে। যে ঘটনায় দুদক মামলা দায়েরের এখতিয়ারই রাখেনা সে মামলায় রায় হচ্ছে। আগের সাত বছর, পরের দিন দশ বছর, এরপর বুধবার গঠণতন্ত্র সংশোধন করা যাবে না এই মর্মে নির্দেশ। এ থেকে কি প্রমানিত হয়? কি প্রমানিত হয়? সরকারের তার যাবতীয় অবৈধ কর্মকান্ড আদালতের মাধ্যমে বৈধ করতে চাচ্ছে।
সরকার তাদের অবৈধ কর্মকান্ড থেকে বাচার জন্য, রক্ষার জন্য বিগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে যে চলেনা সেই মামলায় তারা বিচার করার ব্যবস্থা করেছে। কোন লাভ হবে না। আবার নেতা কে হবে আওয়ামীলীগের লোকজন আসছে সুপ্রিমকোর্টের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্য। সাবধান করে দিতে চাই,অনেক হয়েছে, গতকাল আইনজীবীরা দেখিয়ে দিয়েছে বর্জন কিভাবে হয়। আর আওয়ামী লীগ কি করেছে? তাদের নেতা-নেত্রীরা অংশগ্রহন করেছে কালকে, হাতুড়ি লীগ হামলা করেছে সুপ্রিমকোর্টে।
তাদের বিচার ইনশাআল্লাহ এই বাংলাদেশে হবে। বলে দিতে চাই মানুষ হৃদয় থেকে নেতা মানে। সে হলো বেগম খালেদা জিয়া, তারেক রহমান। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনারা বাবাও আদালতের নির্দেশে নেতা হননি। আপনিও এভাবে নেতা হননি। বেগম খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমানকে মানুষ হৃদয়ের মধ্যমনি বলে মানে। তারা নেতা। আপনার কোর্ট কি করলো না করলো তা থোরাই জনগণ কেয়ার করবে।
জনগণের হৃদয়ে কোর্টের আদেশ ঢুকাতে পারবেন না আপনি। সুতরাং আবার দাবি জানাই সুপ্রিমকোর্টে এসব ঘটনা বন্ধ করুন। হাতুড়ি লীগের বিচার করুন। বিচার বিভাগের উপর প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা বন্ধ করুন। সামনে নির্বাচন আসছে। অনতিবিলম্বে সংসদ ভেঙ্গে দিন। পদত্যাগ করুন। নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন দিন। নিজে বাঁচুন, দেশকে বাঁচান, দেশের জনগণকে বাঁচান।