মির্জাপুর পৌরসভার মেয়র সুমন আর নেই

স্টাফ রিপোর্টার : টাঙ্গাইলের মির্জাপুর পৌরসভার মেয়র সাহাদত হোসেন সুমন ইন্তেকাল করেছেন (ইন্নালিল্লাহি … রাজিউন)।

মঙ্গলবার ভোরে চিকিৎসাধীন ঢাকার বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তার বয়স হয়েছিল (৪৫) বছর। তিনি স্ত্রী, দুই ছেলে, ভাই বোনসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

মেয়র সাহাদত হোসেন পৌর সদরের পোস্টকামুরী গ্রামের মৃত খোয়াজ উদ্দিনের ছেলে। তিনি সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবং টাঙ্গাইল-৭ আসনের সাংসদ মো. একাব্বর হোসেনের আপন চাচাতো ভাই।

পরিবার সূত্র জানায়, গত ৮ ফেব্রুয়ারি হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ভারতে নেয়া হয়। সেখান থেকে ফিরে আসার একদিন পরই আবার অসুস্থ হলে স্থানীয় চিকিৎসকরা প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকায় স্থানান্তর করেন।

প্রথমে মেয়র সাহাদত হোসেনকে রাজধানীর বারডেম হাসপাতাল এবং পরে অবস্থার অবনতি হলে বঙ্গবন্ধু মেডিকেলে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন মঙ্গলবার ভোরেই তিনি না ফেরার দেশে চলে যান।

রাজনৈতিক জীবনে তিনি উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি, মির্জাপুর কলেজ ছাত্র সংসদের সাবেক ভিপি, প্রেসক্লাব মির্জাপুরের সাবেক সভাপতি এবং বর্তমান উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।

বুধবার বাদ জোহর মির্জাপুর শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।

মেয়র সাহাদত হোসেনের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন টাঙ্গাইল জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান খান ফারুক, টাঙ্গাইল-৭ মির্জাপুর আসনের একাব্বর হোসেন এমপি, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মীর এনায়েত হোসেন মন্টু, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আবদুল মালেক, সহকারী কমিশনার ভূমি মো. মঈনুল হক, থানার ওসি মো. সায়েদুর রহমান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি হাজী মো. মোশারফ হোসেন মনি, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মীর শরীফ মাহমুদ, সাংগঠনিক সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম শিপলু, মির্জাপুর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি হাজী আবুল হোসেন ও উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক শামীম আল মামুনসহ পৌরসভার সব কাউন্সিলর, কর্মকর্তা-কর্মচারী, আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী ও সর্বস্তরের জনগণ।

Share this post

scroll to top