একাদশ সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন রাজনৈতিক জোট ১৪ দল এবং বিএনপি নিয়ে নবগঠিত জোট জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের মধ্যে সংলাপ আজ বৃহস্পতিবার। সন্ধ্যা ৭টায় গণভবনে এ সংলাপ অনুষ্ঠিত হবে। সংলাপে ১৪ দলের নেতৃত্ব দেবেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা এবং ঐক্যফ্রন্টের নেতৃত্ব দেবেন গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন। তবে সংলাপের পর জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতারা কোন নৈশ্যভোজে অংশ নেবেন না।
সরকারি দল নাটকীয়ভাবে রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে সংলাপে বসার ঘোষণা দেয়ার পর থেকে রাজনৈতিক অঙ্গনে এ নিয়ে দারুণ কৌতূহল তৈরি হয়েছে। সংলাপের উদ্যোগকে বিভিন্ন মহল স্বাগত জানালেও সফলতা নিয়ে রয়েছে সংশয়। আশা-নিরাশার দোলাচলেই সংলাপে অংশ নিচ্ছেন ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতারা। তারা কট্টর মনোভাব নিয়ে নয়, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক একটি নির্বাচন অনুষ্ঠানে খোলা মন নিয়েই প্রধানমন্ত্রীর সাথে আলোচনায় বসার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তবে ফ্রন্টের নেতারা বলেছেনÑ সংলাপ যদি লোক দেখানো হয়, তাহলে তারা নতুন সিদ্ধান্ত নিয়ে সামনে এগোবেন।
অন্য দিকে, জাতীয় ঐক্যফ্রন্টকে দেয়া সংলাপের দাওয়াতনামায় সংবিধানসম্মত সব বিষয়ে আলোচনার কথা বলা হয়েছে। এতে সরকারি দলের মনোভাবও ফুটে উঠেছে। তারা সংবিধানের বাইরে গিয়ে কোনো আলোচনায় আগ্রহী নন বলেই জানা গেছে। ইতোমধ্যে আওয়ামী লীগ জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সাত দফা দাবি চুলচেরা বিশ্লেষণ করেছে। আলোচনার টেবিলে সেগুলো নিয়ে দলীয় অবস্থান তুলে ধরা হবে। তবে সংলাপের মধ্য দিয়ে প্রধানমন্ত্রী নাটকীয় কোনো ঘোষণা দিতে পারেন এমন আভাসও দিয়েছেন কেউ কেউ।
নির্বাচনের তফসিলের আগে সংলাপে বসতে গত ২৮ অক্টোবর সরকার প্রধান শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে চিঠি দেয় ঐক্যফ্রন্ট। সেই চিঠির একদিন পরই সরকারি দল সংলাপে বসতে রাজি বলে ঘোষণা দেয়। ঐক্যফ্রন্টের পাশাপাশি আরো কয়েকটি রাজনৈতিক দল ও জোটের সাথেও আলোচনায় বসবেন প্রধানমন্ত্রী।
৭ দফার বাইরেও খোলামেলা আলোচনা করবে ঐক্যফ্রন্ট : জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে ১৬ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল আজ এ সংলাপে অংশ নেবেন। প্রতিনিধিদলে আছেনÑ বিএনপি থেকে মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার ও মির্জা আব্বাস। জেএসডি থেকে আ স ম আব্দুর রব, আব্দুল মালেক রতন ও তানিয়া রব। গণফোরাম থেকে মোস্তফা মহসিন মন্টু ও সুব্রত চৌধুরী। নাগরিক ঐক্য থেকে থাকবেন মাহমুদুর রহমান মান্না ও এস এম আকরাম। ঐক্য প্রক্রিয়া থেকে সুলতান মোহাম্মদ মনসুর, আ ব ম মোস্তফা আমিন এবং স্বতন্ত্র হিসেবে থাকবেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা: জাফরুল্লাহ চৌধুরী।
জানা গেছে, সংলাপের সাফল্য নিয়ে সংশয় থাকলেও ইতিবাচক মানসিকতা নিয়েই সরকার প্রধানের সাথে খোলামেলা আলোচনায় অংশ নেবে ঐক্যফ্রন্ট। সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবিতে ঐক্যফ্রন্ট যে সাত দফা ঘোষণা করেছে, সেই সাত দফাই হবে আলোচনার মূল ভিত্তি। এর মধ্যে নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার গঠন এবং নির্বাচনের আগে সংসদ ভেঙে দেয়ার প্রস্তাব সংবিধানের ভেতর থেকেই লিখিতভাবে তুলে ধরবে ঐক্যফ্রন্ট।
ঐক্যফ্রন্টের সাত দফার মধ্যে রয়েছেÑ বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি ও মামলা প্রত্যাহার, তফসিল ঘোষণার আগে সংসদ ভেঙে দেয়া, রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে আলাপ আলোচনার মাধ্যমে নির্বাচনকালীন নিরপে সরকার গঠন, নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন, দেশীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যবেক নিয়োগের ব্যবস্থা নিশ্চিত করা, ইভিএম ব্যবহারের পরিকল্পনা বাদ দেয়া এবং সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে ভোটকেন্দ্রে ম্যাজিস্ট্রেসি মতাসহ সশস্ত্র বাহিনী নিয়োগ নিশ্চিত করা।
সংলাপে নিজেদের অবস্থান চূড়ান্ত করতে ঐক্যফ্রন্ট ও বিএনপির শীর্ষ নেতারা গত দুই দিন একাধিক বৈঠক করেছেন। জানা গেছে, বৈঠকে সাত দফা এবং কেন অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন প্রয়োজন তা লিখিতভাবে বিস্তারিত তুলে ধরবেন ড. কামাল।
জানা গেছে, ঐক্যফ্রন্টের কোনো দফা সরকারি দল আমলে না আনলে নতুন করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। সেক্ষেত্রে রাজধানীর জনসভা থেকে আলটিমেটাম দিয়ে রাজপথ বেছে নেয়া হতে পারে।
ঐক্যফ্রন্টের সিনিয়র এক নেতা বলেছেন, সংলাপের কথা বলে ক্ষমতাসীনেরা যদি সময়ক্ষেপণের কৌশল নেয়. তাহলে পাল্টা কৌশল নেবে ঐক্যফ্রন্ট। সেক্ষেত্রে রাজপথের কর্মসূচির পাশাপাশি সংলাপও চলতে পারে।
বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেছেন, সংলাপ, আন্দোলন ও নির্বাচন একসাথে চলবে। তিনি বলেন, এতদিন যে কৌশল নিয়ে আমরা শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করেছি সেটি ফলপ্রসূ হয়েছে। সরকার সংলাপ করতে সম্মত হয়েছে। দীর্ঘ দিন ধরে মতাসীন দলের মন্ত্রীরা সংলাপ নাকচ করলেও, এখন তারা দেশের মানুষের মনের কথা উপলব্ধি করতে পেরেছেন।
সংলাপ নিয়ে আশাবাদী সরকার : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সংলাপে আওয়ামী লীগের শীর্ষনেতাদের পাশাপাশি ক্ষমতাসীন ১৪ দলীয় জোটের শরিক নেতারাও থাকবেন। মতাসীন জোটের পে ২৩ সদস্যের প্রতিনিধি দল ঐক্যফ্রন্টের ১৬ নেতার সাথে কথা বলবেন। গতকাল দলের পক্ষ থেকে সংবাদমাধ্যমে এ তালিকা পাঠানো হয়। তালিকা অনুযায়ী শেখ হাসিনার পাশাপাশি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম, কাজী জাফর উল্লাহ, ড. আব্দুর রাজ্জাক, আবদুল মতিন খসরু, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক পানিসম্পদমন্ত্রী রমেশ চন্দ্র সেন, দলের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, ডা: দীপু মনি, আব্দুর রহমান, জাহাঙ্গীর কবির নানক, প্রচার সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, দফতর সম্পাদক ড. আব্দুস সোবহান গোলাপ এবং আইন সম্পাদক শ ম রেজাউল করিম উপস্থিত থাকবেন। ১৪ দলের শরিকদের মধ্যে সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া, ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি ও সমাজকল্যাণমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, জাসদ একাংশের সভাপতি ও তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, জাসদ আরেক অংশের কার্যকরী সভাপতি মঈনুদ্দিন খান বাদল সংলাপে অংশ নেবেন।
নৈশভোজে অংশ নেবেন না নেতারা : আওয়ামী লীগের একাধিক সূত্রে জানা গেছে, সংলাপ নিয়ে বেশ আশাবাদী সরকার। এ সংলাপ একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের পথে সহায়ক হবে বলেও আশাবাদী তারা। আর সংলাপে অংশগ্রহণকারী ঐক্যফ্রন্ট নেতাদেরও গণভবনে উষ্ণভাবে বরণ করবে ক্ষমতাসীন জোট। ঐক্যফ্রন্ট নেতাদের সম্মানে সেখানে নৈশভোজেরও ব্যবস্থা রাখা হয়েছিল।
তবে সংলাপে অংশগ্রহণকারী জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নেতারা নৈশভোজে অংশ না নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। গত রাতে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। বিষয়টি আওয়ামী লীগকেও জানিয়ে দেয়া হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না। তিনি বলেন, আমরা সংলাপে যাচ্ছি। তবে নৈশভোজে অংশ নেবো না।
বিএনপির সূত্র জানিয়েছে, চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগারে রেখে আওয়ামী লীগের নৈশভোজে অংশ নেবেন না তারা। বিষয়টি বিএনপি নেতারা ফ্রন্ট নেতাদের জানালে তারা একমত পোষণ করেন।
জানা গেছে, নৈশভোজে অংশ না নেয়ার সিদ্ধান্তের সাথে কৌশলগত কারণও আছে। এর বাইরেও সাম্প্রতিক কয়েকটি ঘটনা বিএনপিকে ুব্ধ করেছে। নৈশভোজে না যাওয়ার বিষয়টি বিএনপির জন্য প্রতিবাদও বলা হচ্ছে। যদিও বিষয়টি প্রকাশ্যে বলছেন না দলের নেতারা।
তারা বলছেন, সংলাপের প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার পর দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় বিচারিক আদালতের দেয়া রায় হাইকোর্ট বাড়ানো এবং জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় সাজার রায় দেয়া হয়েছে। নির্বাচন কমিশনে জমা দেয়া বিএনপির সংশোধিত গঠনতন্ত্র গ্রহণ না করতে গতকাল হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছেন। নৈশভোজে অংশ না নেয়ার সিদ্ধান্তের পেছনে এসব বিষয়ও কাজ করেছে।
তবে সূত্রগুলো জানায়, সংলাপ খুব খোলামেলা হলেও সেখানে আগামী নির্বাচন নিয়ে সংবিধানের বাইরে গিয়ে কোনো আলোচনা বা সিদ্ধান্তে রাজি নয় আওয়ামী লীগ। সব আলোচনা যেন সংবিধানের মধ্যে থেকেই হয়, সে ব্যাপারে অটল থাকবে তারা। বিশেষ করে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সাজার বিষয় এবং নির্দলীয় সরকারের বিষয়ে কোনো কথা বলবেন না ক্ষমতাসীন জোটের নেতারা। খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়টি সম্পূর্ণ আদালতের ওপরই ছেড়ে দিবেন তারা।
সংলাপের প্রতিনিধিদলে থাকা আওয়ামী লীগের তিন নেতা এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবাইকে নিয়েই নির্বাচন করতে চান। এই কথা তিনি বারবার বলেছেন। এ জন্য ছাড় দিতেও তার আপত্তি নেই। তবে সংবিধানের বাইরে কোনো কিছু করা হবে না- এটা তিনি চিঠিতেই স্পষ্ট করেছেন। সংবিধানের ভেতরে থেকে যতটুকু ছাড় দেয়া যায় সে ব্যাপারে তিনি সব সময়ই প্রস্তুত রয়েছেন।’
সংলাপ চেয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে দেয়া ঐক্যফ্রন্টের দাবির মধ্যে কিছু নির্বাচনসংশ্লিষ্ট এবং কিছু নির্বাচনের বাইরে। নির্বাচনসংশ্লিষ্ট বেশ কিছু দাবি মানতে হলে সংবিধান সংশোধন করতে হবে। এর মধ্যে আছে, সরকারের পদত্যাগ এবং সব রাজনৈতিক দলের সাথে আলোচনাসাপেে নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকার গঠন, ভোটের আগে সংসদ ভেঙে দেয়া ইত্যাদি।
এর বাইরে আছেÑ বেগম খালেদা জিয়াসহ সব রাজবন্দীর মুক্তি, গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিদের নিয়ে নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন, ভোটগ্রহণে ইভিএম ব্যবহার না করা, বিচারিক মতা দিয়ে সেনাবাহিনী মোতায়েন, ভোটের আগে নতুন করে মামলা না দেয়া ইত্যাদি।
এখন সংবিধান সংশোধনের মতো সিদ্ধান্তে আওয়ামী লীগ যাবে কি না- এমন প্রশ্নে প্রতিনিধি দলের দুই সদস্য বলেন, ‘এটা তো চিঠিতেই স্পষ্ট যে প্রধানমন্ত্রী সংবিধানসম্মত বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে চান। তার মানে তো এই হয় যে, সংবিধানের বাইরে যাবেন না তিনি। তবে যেহেতু বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীর এখতিয়ার, তাই তিনিই ভালো জানেন।’
তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন নেতা বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী যেহেতু সংলাপে রাজি হয়ে সবাইকে চমকে দিয়েছেন সেহেতু তিনি আরো কী করে জাতিকে চমকে দেন তা দেখার বিষয়।’
১৪ দলের মুখপাত্র ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, ‘সংলাপ হবে। সব দলের সাথেই সংবিধানের আলোকে সংলাপ করতে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও শেখ হাসিনার দ্বার উন্মুক্ত। তবে একটা কথা মনে রাখতে হবে নির্বাচন হবে সংবিধান অনুযায়ী শেখ হাসিনার অধীনে। সুতরাং, সংলাপে গিয়ে সংবিধানের বাইরে আলোচনা করে কোনো লাভ নেই।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের কিছু দাবিকে নির্বাচন কমিশনের এখতিয়ার বলে জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘কিছু দাবি আদালতের বিষয়। এসব নিয়ে সরকারের কিছু করার নেই।’ তবে প্রধানমন্ত্রী যখন চেয়েছেন তখন আলাপ-আলোচনা খোলামেলা পরিবেশেই হবে বলে জানান তিনি।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ বলেন, ‘এই সংলাপ প্রধানমন্ত্রীর আন্তরিকতার বহিঃপ্রকাশ। আওয়ামী লীগ চায় সব দলের অংশগ্রহণে একটি সুন্দর নির্বাচন হোক। এই সংলাপের মাধ্যমে আমরা আশা করি সেই পথ সুগম হবে।’