মো: আব্দুল কাইয়ুম : ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ ময়মনসিংহ শহরের পূর্বপ্রন্তে ঢাকা ময়মনসিংহ রোডের পাশে চারপাড়া এলাকায় অবস্থিত ঢাকা বিশববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত, বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় অনুমোদিত এবং বাংলাদেশ মেডিকেল ও ডেণ্টাল কাউন্সিল স্বীকৃত একটি সরকারী চিকিৎসা মহাবিদ্যালয়। ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ এর নাম শুনেছেন, পড়াশুনা করেছেন, হাসপাতাল থেকে সেবা নিয়েছেন-কিন্তু এর পেছনের কারিগরের কাহিনী কি জানেন? ১৯২৪ সালে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনামলে বাংলার তৎকালীন গভর্নরের নামে বাঘমারা এলাকায় প্রতিষ্ঠিত হয় একটি মেডিকেল স্কুল। “লিটন মেডিকেল স্কুল” নামের এই প্রতিষ্ঠানে চার বছরমেয়াদী এল.এম.এফ. কোর্স চালু ছিল। ১৯২৪ সনে প্রতিষ্ঠিত লিটন মেডিকেল স্কুলের উন্নীতকরণের মাধ্যমে ১৯৬২ সনে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ চালু হয় এবং ১৯৭২ সনে বর্তমানস্থলে স্থানান্তরিত হয়। মাত্র ৩২ জন শিক্ষার্থী নিয়ে কলেজের প্রথম ব্যাচ “ম-০১”-এর যাত্রা শুরু হয়।
আসুন জেনে নেই ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ নিয়ে কিছু তথ্য:-
১৯৬২ লিটন মেডিকেল স্কুলকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে উন্নীতকরণ।
১৯৭০ ইনডোর স্বাস্থ্যসেবা চালু।
১৯৭২ বাঘমারা হতে বর্তমান অবস্থানে (চরপাড়া) কলেজ স্থানান্তর।
১৯৭৯ অর্থোপেডিক্স বিভাগ প্রতিষ্ঠা।
১৯৮১ হাসপাতালে ফ্যামিলি প্ল্যানিং মডেল ক্লিনিক প্রতিষ্ঠা।
১৯৮৮ হৃদরোগ বিভাগ প্রতিষ্ঠা।
১৯৯২ সেন্টার ফর নিউক্লিয়ার মেডিসিন অ্যান্ড আলট্রাসাউন্ড প্রতিষ্ঠা। অনুজীববিদ্যা বিভাগ ও প্রাণরসায়নবিভাগ পৃথকীকরণ।
২০০০ প্রথম পোস্টগ্রাজুয়েশন কোর্স হিসেবে ডিপ্লোমা ইন চাইল্ড হেলথ চালু। নিউরোমেডিসিন,নিউরোসার্জারি,শিশু সার্জারি, এন্ডোক্রাইন মেডিসিন ও নেফ্রোলজি বিভাগের যাত্রা শুরু।
২০০২ ২৭টি পোস্টগ্রাজুয়েট কোর্স (এম ডি,এম এস, এম ফিল,এম পি এইচ, ডিপ্লোমা) চালু। ময়মনসিংহ মেডিকেল জার্নাল ইনডেক্স মেডিকাস, পাবমেড,মেডিলাইন এ নিবন্ধিত।অনলাইনে বিশ্বব্যাপী যা বর্তমানে সুলভ।
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ থেকে ভুটানের প্রধানমন্ত্রী ডা. লোটে শেরিংপড়াশুনা করেছেন। তিনি ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের ২৮তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন। ১৯৯১ সালে বাংলাদেশে এসে বিদেশি কোটায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে এমবিবিএস কোর্সে ভর্তি হন এবং ১৯৯৯ সালে এমবিবিএস পাস করেন। এছাড়াও বিশ্ব বরণ্যে অনেক কৃতি ব্যক্তিত্ব এ মেডিকেল কলেজ এর ছাত্র ছিলেন।