তানিউল করিম জীম : অর্থনীতি ও গবেষণায় বিশেষ অবদানের জন্য একুশে পদক-২০২০ পাচ্ছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) কৃষি অর্থনীতি ও গ্রামীণ সমাজবিজ্ঞান অনুষদের সাবেক অধ্যাপক ড. শামসুল আলম ও ওই অনুষদের সাবেক শিক্ষার্থী ড. জাহাঙ্গীর আলম । বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) যুগ্মসচিব মো. ফয়জুর রহমান ফারুকী স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরো জানানো হয়, ২০২০ সালে বিশেষ অবদানের জন্য বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ২০জন বিশিষ্ট নাগরিক এবং একটি প্রতিষ্ঠানকে এবার একুশে পদক-২০২০ দেওয়া হবে। আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি (বৃহস্পতিবার) সকাল সাড়ে ১০ টায় ঢাকার ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে একুশে পদক তুলে দিবেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শে হাসিনা।
বিশিষ্ট ২০ নাগরিকের মধ্যে, বাংলাদেশ পরিকল্পনা কমিশনের সিনিয়র সচিব এবং বাকৃবির কৃষি অর্থনীতি ও গ্রামীণ সমাজবিজ্ঞান অনুষদের কৃষি ব্যবসা ও বিপণন বিভাগের সাবেক শিক্ষক অধ্যাপক ড. শামসুল আলম ‘অর্থনীতি’ ক্যাটাগরিতে একুশে পদক পেতে যাচ্ছেন। অধ্যাপক ড. শামসুল আলম ২০০৯ সাল থেকে পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগে সিনিয়র সচিব পদমর্যাদায় “সদস্য” হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। তাঁর হাত ধরেই বাংলাদেশ সরকারের “ষষ্ঠ ও সপ্তম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা” প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের কার্যক্রম চলছে। অন্যদিকে বহুল আলোচিত শতবর্ষী “ডেল্টা প্যান” নিয়ে তিনি নিরালসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।
অন্যদিকে বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিএলআরআই) সাবেক মহাপরিচালক, বাকৃবি সাংবাদিক সমিতির সাবেক সদস্য এবং ইউনিভার্সিটি অব গ্লোবাল ভিলেজের উপাচার্য ড. জাহাঙ্গীর আলম ‘গবেষণা’ ক্যাটাগরিতে একুশে পদক পাবে। ড. জাহাঙ্গীর আলম ১৯৭৫ সালে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কৃষি অর্থনীতি বিষয়ে এম.এসসি ডিগ্রী লাভ করেন। দেশে ও বিদেশে তাঁর দেড় শতাধিক গবেষণা নিবন্ধ ও পুস্তক প্রকাশিত হয়েছে। এছাড়া তিনি “বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএলআরআই)” এর মহাপরিচালক এবং “বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল (বিএআরসি)” এর “সদস্য-পরিচালক” হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। একই সাথে তিনি আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের রণাঙ্গনের একজন মুক্তিযোদ্ধা।
এছাড়াও বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে অবস্থিত বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএফআরআই) গবেষণায় বিশেষ অবদান রাখায় একমাত্র প্রতিষ্ঠান হিসেবে একুশে পদক পাচ্ছে।