বিএনপির সংশোধিত গঠনতন্ত্র গ্রহণ না করতে ইসিকে নির্দেশ

৭ অনুচ্ছেদ বিলুপ্ত করে বিএনপির সংশোধিত গঠনতন্ত্র গ্রহণ না করতে নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। বুধবার দুপুরে বিচারপতি আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি মোহাম্মাদ আলীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

বিএনপি তাদের গঠনতন্ত্রের ৭ নম্বর অনুচ্ছেদ বিলুপ্ত করায় ঢাকার কাফরুলের মোজাম্মেল হোসেন হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন। মোজাম্মেল হোসেন নিজেকে বিএনপিকর্মী হিসেবে দাবি করে থাকেন। হাইকোর্টে রিটের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট মমতাজ উদ্দিন মেহেদী।

তিনি জানান, এই রিটের শুনানি নিয়ে আদালত আজ বুধবার নির্বাচন কমিশনকে বিএনপির সংশোধিত গঠনতন্ত্র গ্রহণ না করতে আদেশ দিয়েছেন। পাশাপাশি রুল জারি করেছেন। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) ও নির্বাচন কমিশন সচিবকে একমাসের মধ্যে এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

আইনজীবী মমতাজ উদ্দিন মেহেদী বলেন, মোজাম্মেল হোসেনের দায়ের করা রিটে বলা হয়েছে, বিএনপির আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে আমি বিএনপিতে যোগ দেই। কিন্তু বিএনপি তাদের গঠনতন্ত্রের ৭ নং অনুচ্ছেদ বাতিল করায় আমি সংক্ষুব্ধ। ওই অনুচ্ছেদে বলা ছিল, দুর্নীতিপরায়ণ কোনো ব্যক্তি বা দুর্নীতির দায়ে দণ্ডিত কোনো ব্যক্তি বিএনপির কোনো পর্যায়ের নেতৃত্বে আসতে পারবে না। কিন্তু বিএনপি নেতাদের আশঙ্কা, বিএনপি চেয়ারপারসন ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন দুর্নীতর দায়ে দণ্ডিত হতে পারেন। এ আশঙ্কায় তারা গঠনতন্ত্রের ৭ অনুচ্ছেদ বাতিল করে সংশোধনী আনে এবং সংশোধিত গঠনতন্ত্র নির্বাচন কমিশনে জমা দেয়।

বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়, তাদের ২০১৬ সালের ১৯ মার্চ দলীয় কাউন্সিলে গঠনতন্ত্রে কিছু সংশোধনীর প্রস্তাব অনুমোদিত হয়। সেই সংশোধনীসহ বিএনপির নতুন গঠনতন্ত্র চলতি বছরের ২৮ জানুয়ারি জমা দেয়া হয় নির্বাচন কমিশনে। তাতে দেখা যায়, বিএনপি তাদের গঠনতন্ত্রের ৭ ধারাটি বিলুপ্ত ঘোষণা করেছে।

‘কমিটির সদস্যপদের অযোগ্যতা’ শিরোনামের ওই ধারায় বলা ছিল, ‘নিম্নোক্ত ব্যক্তিগণ জাতীয় কাউন্সিল, জাতীয় নির্বাহী কমিটি, জাতীয় স্থায়ী কমিটি বা যেকোনো পর্যায়ের যেকোনো নির্বাহী কমিটির সদস্যপদের কিংবা জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলের প্রার্থী হিসেবে ‘অযোগ্য’ বলে বিবেচিত হবেন। তারা হলেন: (ক) ১৯৭২ সালের রাষ্ট্রপতির আদেশ নম্বর ৮-এর বলে দণ্ডিত ব্যক্তি; (খ) দেউলিয়া; (গ) উন্মাদ বলে প্রমাণিত ব্যক্তি; (ঘ) সমাজে দুর্নীতিপরায়ণ বা কুখ্যাত বলে পরিচিত ব্যক্তি।”

Share this post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top