গাজীপুরে জন্মদিনের অনুষ্ঠানে ডেকে এনে কিশোরীকে দলবেঁধে ধর্ষণের ঘটনায় ময়মনসিংহের চার ধর্ষককে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
শনিবার সকালে র্যাব-১ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে-আগের রাতে গাজীপুর নগরীর রাজবাড়ী ও ময়মনসিংহে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, কিশোরগঞ্জ জেলার হোসেনপুর থানার নৈয়পুরা গ্রামের সোহরাব উদ্দিনের ছেলে মামলার এজাহারভুক্ত আসামি শরীফ হোসেন (১৮), ময়মনসিংহ জেলার ঈশ্বরগঞ্জ থানার উজান চন্দ্রপাড়া গ্রামের লিটন মিয়ার ছেলে ইমরান হাসান সুজন (১৯), গাজীপুর জেলার শ্রীপুর উপজেলার নয়নপুর গ্রামের সাবাজ উদ্দিন মোল্লার ছেলে শরিফ উদ্দিন মোল্লা (২০), ধর্ষণের পরিকল্পনাকারী ময়মনসিংহ জেলার ত্রিশাল থানার গোলাভিটা গ্রামের মো. জসিম উদ্দিনের ছেলে আহসান ওরফে হাসান (১৬)।
গত ১৫ জানুয়ারি শ্রীপুর উপজেলার নয়নপুরে এক জন্মদিনের অনুষ্ঠানে ডেকে এনে কিশোরীকে এনার্জি ড্রিংকস-এ নেশা জাতীয় দ্রব্য খাইয়ে এ ধর্ষণ করা হয়। এ ঘটনার পর দিন কিশোরীর মা বাদী হয়ে শ্রীপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন।
পোড়াবাড়ী ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার আব্দুল্লাহ আল মামুনের পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, প্রথমে শরীফ হোসেনকে গাজীপুরের রাজবাড়ী থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তার দেওয়া তথ্যর ভিত্তিতে ইমরান হাসান সুজন, শরিফ উদ্দিন মোল্লা ও আহসান ওরফে হাসানকে ময়মনসিংহের বিভিন্ন এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদ করে কমান্ডার আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, ১৫ জানুয়ারি বিকালে ওই চার বন্ধু জন্মদিনের কথা বলে নয়নপুর এলাকার একটি বাসায় ওই কিশোরীকে ডেকে নিয়ে যায়। জন্মদিনের কেক কেটে সবাই মিলে আনন্দ উল্লাস করে।
‘অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে গ্রেপ্তারকৃত আসামিরা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ওই কিশোরীকে এনার্জি ড্রিংস্কে নেশা জাতীয় দ্রব্য মিশিয়ে পান করিয়ে অজ্ঞান করে। পরে পাশের একটি ঝোঁপে নিয়ে কিশোরীর হাত, পা ও মুখ বেঁধে দলবেঁধে ধর্ষণ করে।
মামলার ২নং আসামি ইমরান হাসান সূজন তার মোবাইল ফোনে ওই ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করে তার ফেইসবুক আইডিতে আপলোড করে বলে গ্রেপ্তারকৃত আসামিরা স্বীকার করেছে।