আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ময়মনসিংহ-৬ (ফুলবাড়িয়া) আসনে ধানের শীষের সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে আলোচনায় আছেন জেলা বিএনপির সদস্য আখতারুল আলম ফারুক। এরইমধ্যে উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নের বেশিরভাগ জায়গায় গণসংযোগ ও উঠান বৈঠকের মাধ্যমে এলাকাবাসীর দৃষ্টি কেড়েছেন তিনি। আন্দোলন-সংগ্রামে ক্ষতিগ্রস্ত নেতাকর্মীদের পাশে দাঁড়িয়ে তরুণ প্রজন্মের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠছেন বিএনপির তরুণ এই নেতা।
জানা গেছে, পারিবারিকভাবে ঐতিহ্যবাহী পরিবারের সন্তান ফারুক। শেরেবাংলা একে ফজলুল হকের নাতনি জামাই ফারুক স্কুলজীবনেই ছাত্রদলের রাজনীতিতে জড়ান। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডিগ্রি নিয়ে উচ্চশিক্ষার্থে পাড়ি দেন লন্ডনে। ২০০৪ সালে দেশে ফিরে সক্রিয়ভাবে ফুলবাড়িয়ায় তৃণমূল বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত হন। ময়মনসিংহ জেলা বিএনপির সদস্য হয়ে দলের সাংগঠনিক শক্তি বৃদ্ধিতে কাজ করেন। তার দাদা, পিতা, চাচা, শ্বশুর সবাই বিভিন্ন সময় জাতীয় সংসদের প্রতিনিধিত্ব করেছেন।
বর্তমানে আন্দোলনে মামলা-হামলা ও নির্যাতিত নেতাকর্মীদের সহায়তা দিচ্ছেন। খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে দলীয় কর্মসূচি পালনের পাশাপাশি নির্বাচনী এলাকায় ব্যাপক প্রচারণা চালাচ্ছেন। তৃণমূল নেতাকর্মীরাও তাকে পেয়ে অনেকটাই উজ্জীবিত।
দলের মনোনয়নের বিষয়ে আখতারুল আলম ফারুক বলেন, নবম সংসদ নির্বাচনে ধানের শীষের মনোনয়ন পাওয়া শামস উদ্দিন আহমেদের বয়স প্রায় ৮৫ বছর। তিনি খুব একটা চলাফেরা করতে পারেন না। তাই গত ১৪ বছর ধরে ফুলবাড়িয়া বিএনপির জন্য কাজ করছি। তৃণমূল নেতৃবৃন্দের সাথে নিবিড় সম্পর্ক গড়ে তুলেছি। দলের হাইকমান্ড যোগ্য নেতৃত্ব যাচাই করে মনোনয়ন দিলে আমিই ধানের শীষের প্রতীক পাবো। জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হতে পারলে প্রথমেই শিক্ষার বিস্তার ও মাদক নির্মূল এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে সংগ্রাম গড়ে তুলব ইনশাআল্লাহ।