খালেদা জিয়ার জামিন আবেদনের পরবর্তী শুনানি ১২ ডিসেম্বর

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য পরীক্ষার প্রতিবেদন জমা না দেয়ায় তার জামিন আবেদন পিছিয়েছে। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবি অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম সময় আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আগামী ১২ ডিসেম্বর (বৃহস্পতিবার) স্বাস্থ্য পরীক্ষার সর্বশেষ অবস্থা নিয়ে প্রতিবেদন জমা দিতে আদেশ দেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে আপিল বিভাগের ছয় সদস্যের আপিল বিভাগের বেঞ্চ।

আজ বৃহস্পতিবার খালেদা জিয়ার সর্বশেষ স্বাস্থ্যগত অবস্থা জানাতে মেডিকেল বোর্ড গঠন করে তার রিপোর্ট (প্রতিবেদন)আদালতে দাখিলের নির্দেশনা দেয়া ছিল। একই দিন জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় কারান্তরীণ খালেদা জিয়ার জামিন আবেদনের ওপরও শুনানি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু, এ প্রতিবেদন আজ আদালতে  জমা না দেয়ায় জামিন আবেদনের ওপর শুনানি হয়নি।

খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা ৭ ডিসেম্বর রোববার স্বাস্থ্যগত প্রতিবেদন জমা এবং এদিনই জামিন শুনানির জন্য দিন ধার্য করার অনুরোধ করেন।তবে, আদালত মেডিকেল বোর্ডের প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ১২ ডিসেম্বর দিন ধার্য করেন।  এদিন স্বাস্থ্যগত প্রতিবেদন জমা দেয়ার পর কারান্তরীণ খালেদা জিয়ার জামিন আবেদনের ওপরও শুনানি হবে।

এদিকে, খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন শুনানির দিন হাইকোর্ট ও এর আশপাশে ব্যাপক নিরাপত্তা বলয় তৈরি করেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। আদালত চত্বরে আইনজীবিদের হট্টগোলের ঘটনাও ঘটে। উচ্চ আদালতের প্রাঙ্গণে বিএনপিপন্থি আইনজীবিদের বিক্ষোভ করতেও দেখা যায়।

 

 

আরো পড়ুন

এস কে সিনহার বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দিচ্ছে দুদক

ঋণ জালিয়াতির মামলায় সাবেক প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র তৈরি হয়ে গেছে বলে জানিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন- দুদক।

জালিয়াতি করে ফারমার্স ব্যাংক থেকে ৪ কোটি টাকা ঋণ নিয়ে তা আত্মসাতে এস কে সিনহার জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়ার কথা বলছে সংস্থাটি।

 আজ বুধবার কমিশন অভিযোগপত্রটি অনুমোদন দিয়েছে বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন দুদকের মহাপরিচালক সাঈদ মাহবুব খান।

অর্থাৎ এই মামলার বিচার শুরুর উদ্যোগ নিতে অচিরেই অভিযোগপত্রটি আদালতে দাখিল করা হবে।

এ অভিযোগপত্রে এস কে সিনহাসহ মোট ১১ জনকে দায়ী করা হয়েছে।

দুদক মহাপরিচালক সাঈদ বলেন, ‘এস কে সিনহার বিরুদ্ধে দুজন সাধারণ ব্যক্তির নামে চার কোটি টাকার ভুয়া লোন সৃষ্টি করে নিজের অ্যাকাউন্টে নিয়ে আত্মসাৎ ও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে মামলা হয়েছিল। এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ছিলেন বেনজির আহমেদ। এই মামলাতে এস কে সিনহাসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেছেন, এটি কমিশন অনুমোদন দিয়েছে।’

অভিযোগপত্রে আসামির তালিকায় তৎকালীন ফারমার্স ব্যাংকের অডিট কমিটির চেয়ারম্যান মাহবুবুল হক চিশতী ওরফে বাবুল চিশতীর নাম অন্তর্ভুক্ত হয়েছে বলে জানান দুদক কর্মকর্তা।

তবে মামলার ১১ আসামির মধ্যে ব্যাংকটির গুলশান শাখার সাবেক ব্যবস্থাপক মো: জিয়া উদ্দিন আহমেদকে তদন্ত কর্মকর্তা বাদ দিয়েছেন। একজন নতুন যুক্ত হওয়ায় এবং একজন বাদ পড়ায় আসামি ১১ জনই থাকছেন।

বিচারপতি সিনহা নানা নাটকীয় ঘটনার মধ্যে দুই বছর আগে বিদেশে পাড়ি জমানোর পর দুদক অভিযোগ পায়, তিনি ফারমার্স ব্যাংকের (বর্তমানে পদ্মা ব্যাংক) গুলশান শাখা থেকে ব্যবসায়ী পরিচয়ে দুই ব্যক্তির নেয়া ঋণের চার কোটি টাকা নিজের অ্যাকাউন্টে নিয়েছিলেন।

অভিযোগ পেয়ে ওই বছরই তদন্তে নামে দুদক। দীর্ঘ তদন্তে পর চলতি বছরের ১০ জুলাই সিনহাসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন দুদকের পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেন।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন- ফারমার্স ব্যাংকের সাবেক এমডি এ কে এম শামীম, সাবেক এসইভিপি গাজী সালাহউদ্দিন, ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট স্বপন কুমার রায়, সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মো: জিয়াউদ্দিন আহমেদ (অভিযোগপত্রে বাদ পড়েছেন), ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট সাফিউদ্দিন আসকারী, ভাইস প্রেসিডেন্ট মো: লুৎফুল হক, টাঙ্গাইলের বাসিন্দা মো: শাহজাহান, একই এলাকার নিরঞ্জন চন্দ্র সাহা, রনজিৎ চন্দ্র সাহা ও তার স্ত্রী সান্ত্রী রায়।

সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায় এবং কিছু পর্যবেক্ষণের কারণে ক্ষমতাসীনদের তোপের মুখে ২০১৭ সালের অক্টোবরের শুরুতে ছুটিতে যান তখনকার প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা। পরে বিদেশ থেকেই তিনি পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দেন; তিনি এখন আছেন যুক্তরাষ্ট্র হয়ে কানাডায়।

বিচারপতি সিনহা ছুটি নিয়ে বিদেশ যাওয়ার পর তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি, অর্থ পাচার, আর্থিক অনিয়ম ও নৈতিক স্খলনসহ সুনির্দিষ্ট ১১টি অভিযোগ পাওয়ার কথা সুপ্রিম কোর্টের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল।

Share this post

scroll to top