নিউজ ডেস্ক: মাটির নিচে নয়, গাছের ডগায় হয় মিসরীয় পেঁয়াজ! পেঁয়াজ নিয়ে দেশে লণ্ডাকাণ্ড চলছে। কয়েক সপ্তাহের ব্যবধানে ৬/৭ গুন বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে বাংলাদেশি সংস্কৃতিতে রান্নার অন্যতম এই উপাদান। সেপ্টেম্বর মাসের শেষ দিকে ভারত বাংলাদেশে পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করলে দেশের বাজার অস্থির হয়ে ওঠে। যমুনা টিভি
এরপর দাম বাড়তে শুরু করে। ৩৫/৪০ টাকার পেঁয়াজ খুচরা বাজারে সর্বশেষ গিয়ে দাঁড়ায় ২৭০/২৮০ টাকা কেজি। যদিও মজুতদারদের বিরুদ্ধে সরকারি সংস্থাগুলোর অভিযানের পর গত দুই দিনে দাম কিছুটা কমতে শুরু করেছে।
এদিকে ভারত থেকে আসা বন্ধ হওয়া পেঁয়াজের ঘাটতি মেটাতে সরকার বিকল্প দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এবং প্রথাগতভাবে জাহাজে এসব পেঁয়াজ না এনে দ্রুত বাজার নিয়ন্ত্রণে কার্গো বিমানে করে আনা হচ্ছে তুরস্ক, মিসর ও চীন থেকে।
কার্গো বিমানে আমদানি করা পেঁয়াজের প্রথম চালান আজ দেশে আসার কথা রয়েছে। এ চালানটি আসবে মিসর থেকে। এদিকে মিসরের পেঁয়াজ সম্পর্কে খোঁজ খবর নিতে গিয়ে জানা গেল মজার তথ্য। সাধারণত পেঁয়াজ গাছের গোড়ায় পেঁয়াজ হয়, যা মাটির নিচে থাকে। বাংলাদেশ, ভারতসহ দুনিয়াজুড়ে এই পেঁয়াজ উৎপাদন হয়। তবে মিসরে ভিন্ন এক ধরনের পেঁয়াজ রয়েছে যা গাছে ধরে! অর্থাৎ, এই পেঁয়াজ গাছের গোড়ায় না হয়ে আগায় ধরে; যেমনটি ছবিতে দেখা যাচ্ছে।
এই ধরনের পেঁয়াজকে ‘ট্রি অনিয়ন’, ‘ইজিপশিয়ান ট্রি অনিয়ন’, ‘টপ অনিয়ন’, ‘উইন্টার অনিয়ন’ ইত্যাদি নামে ডাকা হয়। বৈজ্ঞানিক নাম ‘আলিয়ুম প্রলিফারাম’।
সাধারণ পেঁয়াজের মতোই গাছ হয় ‘টপ অনিয়ন’ এর। গাছের প্রতিটি পাতার ওপরে ফুল হয় সাধারণ পেঁয়াজের মতো। পরে সেই ফুলটি ধীরে ধীরে পেঁয়াজে পরিণত হয়। গাছটির গোড়া দেখতে সাধারণ পেঁয়াজের মতো হলেও এটি আকারে ছোট হয়ে থাকে, তাই গোড়ার অংশকে পেঁয়াজ হিসেবে ব্যবহার করা যায় না।