টাইগারদের তীক্ষ্ণ নজর এখন নাগপুরে

দিল্লিতে প্রথম ম্যাচ জয়ের পরই রেকর্ড গড়ার স্বপ্ন দেখেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু সেটি আর হয়নি। তাই টাইগারদের তীক্ষ্ণ নজর এখন তৃতীয় ম্যাচে। নাগপুরে আগামীকাল বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় ম্যাচটি শুরু হবে।

তিন ম্যাচের টি-২০ সিরিজটি এখন সমতায় আছে। তাই বাংলাদেশের মতো ভারতের নজরও এখন নাগপুরে।

বাংলাদেশ অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহর দৃষ্টি এখন নাগপুরের আবহাওয়া ও উইকেটে। সেখানে আগে মানিয়ে নিতে হবে। দ্বিতীয় ম্যাচ শেষে এই কথাই জানালেন, ‘নাগপুরে গিয়ে সেখানকার কন্ডিশন সম্পর্কে আগে আমাদের বুঝতে হবে। এ ছাড়া আমাদের আরো বেশি মাত্রায় ইতিবাচক থাকতে হবে।’

রাজকোটের উইকেট ছিল ব্যাটিং সহায়ক। ওই উইকেটে বাংলাদেশের রান ১৫৩ খুবই দুর্বল স্কোর। অথচ এ মাঠে বাংলাদেশ আরো ভালো করবেন- এটাই ছিল প্রত্যাশা। সাকিব নেই। তবু ব্যাটিং লাইনে যে গভীরতা, তাতে ২০০ না হলেও কাছাকাছি যাওয়া অসম্ভব ছিল না। বিশেষ করে শুরুটা অমনই ছিল দুই ওপেনার লিটন ও নাঈমের। ওই জুটি খেলে ৬০ রানের পার্টনারশিপ। কিন্তু এরপরই কিছুটা রক্ষণাত্মক হয়ে যান তারা। সুযোগটা নিয়েছে ভারতীয় বোলাররাও। ওই শেষ। এরপর আর ম্যাচে ফিরতে পারেনি। একপেশে করে দেন ভারতের দুই ওপেনার।

তবে এ জন্য ব্যাটসম্যানদের আরো দায়িত্ববান হওয়ার প্রয়োজনীয়তার কথা জানালেন। তিনি বলেন, ‘উইকেট খুবই ভালো ছিল। তবে আমাদের ২৫-৩০ রান কম হয়। এই উইকেটে আমাদের অন্তত ১৭৫ রান করা উচিত ছিল। রোহিত-শেখর ধাওয়ান দুর্দান্ত শুরু করেন। আর সেখানেই ম্যাচ জয়ের কাজ সেড়ে ফেলে ভারত। তাই রোহিত-ধাওয়ানকে কৃতিত্ব দিতেই হবে। স্কোর ডিফেন্ড করার একটা সুযোগ আমাদের পাওয়া উচিত ছিল। কিন্তু আমরা তা করতে পারিনি।’

তবে উইকেটের যে কন্ডিশন ছিল এর মধ্যে আমিনুল বিপ্লব যে বোলিংটা করেছেন তার প্রশংসা করেন তিনি। বলেন, ‘এমন পিচ হলে রিস্ট স্পিনারদের সেটা খুব সহায়তা করে। চাহাল সেটাই করে দেখিয়েছে। আমিনুলকে পাওয়াটাও আমাদের জন্য বড়প্রাপ্তি। যেভাবে ভূমিকা রাখছে, আশা করবো এভাবেই ধারাবাহিকতা ধরে রাখবে সে।’

এ দিকে নিজেদের ব্যাটিংয়ের সমালোচনাও করেন মাহমুদ উল্লাহ রিয়াদ। তিনি বলেন, ‘গুরুত্বপূর্ণ সময়ে আমরা উইকেট হারিয়েছি, যা আমাদের পিছিয়ে দিয়েছে। এ ম্যাচে আমরা যেসব ভুল করেছি দল হিসেবে সেগুলো নিয়ে কাজ করতে হবে। কিছু জায়গায় উন্নতি করতে হবে। বিশেষ করে ব্যাটিং-এ।’

বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা এ ম্যাচেও পুরনো এক সমস্যায় ভোগে। আর সেটা হলো ডট বল। এ সমস্যার জন্যই বারবার পিছিয়ে যেতে হয়েছে বাংলাদেশকে এ ফরম্যাটে। নতুবা আফগানদের কাছেও কোনঠাসা থাকতে হয়। দিল্লিতে কিছুটা উন্নতি হলেও এ ম্যাচে এ সমস্যা ছিল প্রকট।

Share this post

scroll to top