সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে প্রায় ৩০০ সেনা ও ২০টি সাঁজোয়া গাড়ি মোতায়েন করেছে রাশিয়া। রুশ সামরিক বাহিনীর সদস্যরা ওই এলাকায় তুর্কি বাহিনীর সাথে যৌথ টহল শুরু করেছে।
রুশ সামরিক বাহিনী এ অঞ্চলে প্রতিদিন গড়ে অন্তত ১০টি আবাসিক এলাকা অতিক্রম করবে। প্রায় দেড় শ’ কিলোমিটার পাঁচ ঘণ্টায় টহল দেয়া হবে এবং প্রতিটি নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রে টহল বাহিনীকে রিপোর্ট করতে হবে। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোগান ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন কৃষ্ণসাগর উপকূলবর্তী সোচি শহরে একটি চুক্তিতে উপনীত হয়েছিলেন। এ চুক্তির আওতায় কুর্দি যোদ্ধাদের প্রত্যাহার করা হয়। ওই চুক্তিতে কুর্দিদের সীমান্ত থেকে সিরিয়া ভূখণ্ডের ৩০ কিলোমিটার ভেতরে সরে যাওয়ার জন্য ১৫০ ঘণ্টা সময় দেয়া হয়েছিল।
সিরিয়ায় ৯০০ মার্কিন সেনা অবস্থান করবে
এ দিকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সিরিয়া থেকে সেনা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিলেও দেশটিতে প্রায় ৯০০ মার্কিন সেনা অবস্থান করবে বলে জানা গেছে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমসের এক খবরে বলা হয়, সিরিয়ায় মোতায়েন করা এক হাজার সেনার মধ্যে ৫০০ জন এরই মধ্যে দেশে ফিরে গেছেন। ২৫০ জন রেখে বাকি রেখে সবাই ফিরে যাবেন। আল তানফে থাকা অবশিষ্ট মার্কিন সেনাদের সাথে মিলে মোট ৯০০ জনের মতো সিরিয়ায় অবস্থান করবেন।
২০১৯ সালের ৯ অক্টোবর তুর্কি সীমান্তবর্তী সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলীয় এলাকা থেকে সিরিয়ার কুর্দি বিদ্রোহীদের উৎখাতে অভিযান শুরু করে তুরস্ক। তার আগ মুহূর্তে ওই অঞ্চল থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহার করা হয়। পরে ওয়াশিংটনের মধ্যস্থতায় গত ১৭ অক্টোবর ৫ দিনের যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয় আঙ্কারা। সিরিয়ার দক্ষিণ পূর্বাঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্র নিয়িন্ত্রিত এলাকায় ৯০০ সেনা থেকে যাবে। যুক্তরাষ্ট্রের দাবি, আইএসের পুনরুত্থানের আশঙ্কা থেকে এই সেনারা অবস্থান করছে। সূত্র : আলজাজিরা।