‘বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচনে যেতে গণফোরামের কোনো আপত্তি নেই’ বলে বিবিসি বাংলাতে যে সাক্ষাৎকার প্রকাশিত হয়েছে- তা বিকৃতভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন বিশিষ্ট আইনজীবী, জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার আহ্বায়ক ও গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন।
ড. কামাল বলেছেন, ‘আমার বক্তব্য সঠিকভাবে তুলে ধরতে পারেনি বিবিসি। আমি এভাবে বলিনি। টেলিফোনে বিবিসি আমার সাক্ষাৎকার নিয়েছে। তারা হয়তো ঠিকভাবে বুঝতে পারেনি। তাই ঠিকভাবে উপস্থাপনও করতে পারেনি।’
সোমবার সন্ধ্যায় মতিঝিলের নিজের চেম্বারে অনুষ্ঠিত যুক্তফ্রন্ট এবং জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার শীর্ষ নেতাদের যৌথসভা শেষে ড. কামাল হোসেন এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘আমি বলেছি আমাদের দাবিদাওয়া পূরণ হলে ও নির্বাচনী পরিবেশ ঠিক থাকলে আমরা নির্বাচনে যেতে রাজি আছি। সংসদ বহাল রেখে বর্তমান সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন হলে তা অবাধ, সুষ্ঠু হবে না। তাই আমরা নির্বাচনের আগে সংসদ ভেঙে দেয়ার দাবি জানিয়েছি। একই সঙ্গে নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনেরও দাবি জানিয়েছি।’
ড. কামাল হোসেন এ সময় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবি জানিয়ে বলেন, এই আইন সরকারকে বাতিল করতে হবে। এটি একটি সংবিধান পরিপন্থী আইন। সরকার চাইলেই এমন একটা আইন প্রণয়ন করতে পারে না। এই আইন প্রণয়নের মধ্য দিয়ে তারা সাধারণ মানুষের কণ্ঠরোধ করতে চায়। গণমাধ্যমের কণ্ঠরোধ করতে চায়।
তিনি বলেন, সভ্য সমাজে এমন একটি আইন হতে পারে না। মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নাগরিকদের সাংবিধানিক অধিকার। এই আইনের মাধ্যমে তা কেড়ে নেয়া হয়েছে। এর ফলে স্বাধীন সাংবাদিকতা হুমকির মুখে পড়বে। মতপ্রকাশের স্বাধীনতা থাকবে না।
তিনি বলেন, ‘আমরা আমাদের করণীয় ঠিক করতে বৈঠকে বসেছিলাম। মঙ্গলবার আবার বৈঠক হবে। এই বৈঠকে আমরা আমাদের কর্মসূচি ঠিক করব।’
ড. কামাল হোসেন বলেন, গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা এবং ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনতে দেশব্যাপী জাতীয় ঐক্যের যাত্রা শুরু হয়েছে। এই ঐক্যকে আরও এগিয়ে নিতে হবে।