যুবদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে ময়মনসিংহে সমাবেশে পুলিশের লাঠিচার্জ, গুলি

জাতীয়তাবাদী যুবদলের ৪১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ময়মনসিংহে মহানগর যুবদলের দু’গ্রুপের উত্তেজনাকে কেন্দ্র করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় পুলিশ লাঠিচার্জ, কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ ও গুলি ছুঁড়েছে। আটক করা হয়েছে মহানগর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক জোবায়ের হোসেন শাকিলসহ ছয়জনকে।

এর আগে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ময়মনসিংহ দক্ষিণ জেলা ও মহানগর যুবদলের উদ্যোগে পৃথক মিছিল ও সমাবেশ করে।

আজ রোববার দুপুরে পুলিশের অনুমতি না পেয়ে নগরীর হরিকিশোর রায় রোড ও কাজী নজরুল ইসলাম অ্যাভিনিউ সড়কে ময়মনসিংহ দক্ষিণ জেলা ও মহানগর যুবদল পৃথক পৃথক মিছিল করে এবং বিভিন্ন এলাকা থেকে মিছিল নিয়ে যুবদলের নেতাকর্মীরা দলীয় কার্যালয়ে সমবেত হয়।

পরে পৃথক সমাবেশে বক্তব্য রাখেন দক্ষিণ জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অধ্যাপক এ কে এম শফিকুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক আবু ওয়াহাব আকন্দ, নগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক শেখ আমজাদ আলী, জেলা বিএনপির যুগ্ম-সম্পাদক কাজী রানা, দফতর সম্পাদক অ্যাডভোকেট এম এ হান্নান খান, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আনোয়ারুল আজিজ টুটুল, যুবদলের সাবেক সভাপতি শামীম আজাদ, স্বেচ্ছাসেবকদলের জেলা সভাপতি শহিদুল আমিন খসরু, যুবদলের জেলা সভাপতি রোকনুজ্জামান সরকার রোকন, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট দিদারুল ইসলাম রাজু, মহনগর সাধারণ সম্পাদক জোবায়ের হোসেন শাকিল প্রমুখ।

এদিকে, মহানগর যুবদলের সমাবেশের শেষের দিকে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের দু’গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হলে নেতাকর্মীদের মাঝে ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়। এক পর্যায়ে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ শুরু করলে এক পুলিশ কনস্টেবলের বুকে লাগে। পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ লাঠিচার্জ ও কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করলে নেতাকর্মীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়।

এ সময় তিন রাউন্ড শর্টগানের গুলি ও তিন রাউন্ড কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করা হয় বলে স্বীকার করেছেন কোতোয়ালী মডেল থানার ওসি মাহমুদুল ইসলাম।

এ সময় মহানগর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক জোবায়ের হোসেন শাকিল, সাকিব, শরীফ, সাখাওয়াত, হৃদয় ও আরিফকে আটক করে পুলিশের ভ্যানে তুলে কোতোয়ালী থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। পরে তাদেরকে আটকের কথা জানান ওসি।

Share this post

scroll to top