ইসলামপুরের দাঁড়িভিট স্কুলে উর্দু শিক্ষক নিয়ে সাম্প্রদায়িক রাজনীতি ও ছাত্রছাত্রীদের উস্কানি দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর প্রশ্ন, শিক্ষক নিয়োগের ব্যাপারে কীভাবে জানতে পারল ছাত্রছাত্রীরা? এছাড়াও তিনি বলেন, উর্দু শিক্ষকের চাকরি কেড়ে নেওয়ার কোনও অধিকার ওদের নেই।
মিলান থেকে ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম জি ২৪ ঘণ্টাকে এক্সক্লুসিভ সাক্ষাত্কারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, কী বিষয়ের শিক্ষক নিয়োগ হবে, তা ছাত্রছাত্রীরা ঠিক করে দেবে?সংস্কৃত শিক্ষককে যোগ দিতে দিচ্ছে। কিন্তু উর্দু শিক্ষককে যোগ দিতে বাধা দিচ্ছে কেন? মমতার যুক্তি, বাংলার বহু জায়গায় বাংলা ছাড়াও অন্য ভাষার ১০ শতাংশ করে মানুষ থাকেন। গুরুমুখী, অলচিকি ও উর্দুভাষী বহু মানুষ রয়েছেন। ওখানে ১০ শতাংশের উপরে মুসলিম জনসংখ্যা। একজনও যদি উর্দু পড়তে চায়, স্কুল তাদের পাঠাতেই পারে।
মমতা আরও বলেন, ”শিক্ষক কম থাকলে একজন ইংরেজি শিক্ষক কি বাংলা পড়াতে পারেন না? বহু শিক্ষকই অন্য বিষয় পড়ান”।
গোটা ঘটনায় সাম্প্রদায়িক ইন্ধন রয়েছে বলে বুঝিয়ে দেন মমতা। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়,”সংস্কৃত শিক্ষক গেলে দোষ নেই, উর্দু শিক্ষক গেলে দোষ! এটা সাম্প্রদায়িক। বাংলা শিক্ষক গেলে বিরোধিতা করছে না। উর্দু শিক্ষক গেলে কাজে যোগ দিতে দেবে না। স্কুল উর্দু শিক্ষক চেয়েছে, তাই দিয়েছি”। ঘটনায় বিজেপি যে রাজনীতি করছে, তা আরও একবার স্পষ্ট করেন মমতা। তাঁর মন্তব্য, ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে ওখানে গণ্ডগোল করছে বিজেপি। উর্দু শিক্ষকের চাকরি কেড়ে নেওয়ার কোনও অধিকার ওদের নেই।
বিজেপি-আরএসএস-কে দুষে এদিন মমতা আরও বলেন,”বাইরে থেকে গুন্ডা ভাড়া করে নিয়ে এসে। মুখে গামছা বেঁধে বন্দুকের গুলি করে স্কুলে তাণ্ডব করেছে। দুই ছাত্র মারা গিয়েছে। এর দায় বিজেপি ও আরএসএস-কে নিতে হবে। প্রতিটি সভায় তাদের নেতারা উস্কানি দিচ্ছেন। ভাড়াটিয়া গুন্ডাদের নিয়ে আসছে ওরা”।