উনি যেদিন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি হিসেবে জয়েন করেছেন সেদিন থেকেই আমার সাথে ফোনে কথা হয়, প্রায়ই উনি এখানে আসেন। নানা বিষয় নিয়ে আলাপ করি। এমন কোনো স্পেশাল বিষয় ছিল না। এমনি আলাপ আলোচনা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে সচিবালয়ে জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি)র ভিসি অধ্যাপক ফারজানা ইসলামের সাথে বৈঠকের পর গণমাধ্যমকর্মীদের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল এই মন্তব্য করেছেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি টেন্ডারের ভাগ হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগকে আর্থিক সুবিধা দেয়ার যে অভিযোগ ভিসি অধ্যাপক ফারজানা ইসলামের বিরুদ্ধে উঠেছে, তা ‘পদ্মা সেতুতে দুর্নীতির ষড়যন্ত্রের’মতই অসার বলে মনে হয়েছে।
ভিসির পদত্যাগের সম্ভাবনার গুঞ্জনের বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি বলেন, এই সম্পর্কে আমি কিছু জানি না। আমরা কিছু শুনিওনি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে ভিসির সাথে আলোচনা হয়েছে-এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, এ বিষয়ে আলাপ হবে কেন? এটা একটা অর্থ এখনও ডেসপাস হয়নি, এখনও কন্ট্রাক্ট শুরু হয়নি, এখনও তো কিছুই হয়নি। অর্থ নিয়ে যে সমস্ত কাহিনী আমরা শুনতেছি- এগুলোতো এখনও সেই পদ্মা সেতুর মত দশা বলে আমার কাছে মনে হচ্ছে।
প্রসঙ্গত. জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নে প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকার প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে গত মাসে আন্দোলন শুরু করে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের একটি অংশ। এর মধ্যেই ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন এবং সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীর বিরুদ্ধে ভিসি ফারজানা ইসলামের কাছে চাঁদা চাওয়ার অভিযোগ ওঠে। এই প্রেক্ষিতে ওই দুজনকে সরতে হলেও তারা অভিযোগ অস্বীকার করে উল্টো অধ্যাপক ফারজানা ইসলামের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে বলেন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি টেন্ডারের ভাগ হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগকে আর্থিক সুবিধা দেয়া হয়েছে জানতে পেরে তারা ভিসি অধ্যাপক ফারজানা ইসলামের সাথে যোগাযোগ করেছিলেন। ওই চাঁদাবাজির সাথে তাদের কোনো ধরণের সংশ্লিষ্টতা ছিল না।